করোনার নয়া প্রজাতি ওমিক্রনকে অনেক বিশেষজ্ঞ ‘কম বিপজ্জনক’ স্ট্রেন হিসাবে বর্ণনা করেছেন। বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য ওমিক্রন আগের স্ট্রেনগুলির তুলনায় দ্রুত ছড়ালেও এর মারণ ক্ষমতা আগের থেকে অনেকটাই কম। এর ফলে মৃত্যু এবং হাসপাতালে ভরতি দুটি সংখ্যাই আগের থেকে কম হবে। বিশেষজ্ঞদের এই ধারণাকে এবার মারাত্মক ভুল বলে দেগে দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। WHO‘র বক্তব্য, করোনার নতুন এই প্রজাতিকে ‘কম বিপজ্জনক’ বলাটা বড়সড় ভুল।
কেন? তার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার, ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়াসুস জানিয়েছেন, ‘ওমিক্রন আগের থেকে কম মারাত্মক বা যাদের টিকা নেওয়া হয়ে গিয়েছে তাঁদের জন্য কম ক্ষতিকারক। তার মানে এই নয় যে, এটাকে কম বিপজ্জনক বলা হবে”। তাঁর বক্তব্য, আগের ভ্যারিয়েন্ট গুলির মতোই ওমিক্রন বহু মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি হতে বাধ্য করছে। বহু মানুষের প্রাণ কাড়ছে অমিক্রন। বস্তুত, আক্রান্তের সংখ্যার সুনামি এতটাই বিপজ্জনক যে অনেক দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্যই এটা বাড়তি চাপ তৈরি করছে।
ওমিক্রনের হাত ধরেই সুনামি আছড়ে পড়েছে সারা বিশ্বে। আমেরিকা, ব্রিটেনে লক্ষাধিক মানুষ একদিনে অমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছেন। ভারতের রকেট গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে করোনার নয়া এই স্ট্রেন। টিকাকরণের ওপর ভর করে আমতুষ্টির ফল হতে পারে ভয়াবহ বলেই বর্ণনা করেছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থার মতে, যে সকল মানুষের কোমর্বিডিটি রয়েছে, ওমিক্রন তাদের জন্য বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই সকলকেই নয়া এই প্রজাতির সঙ্গে লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকা এবং কোভিড প্রোটোকল মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্বস্বাথ্য সংস্থা প্রধান।