বিশ্বের অন্যতম আধুনিক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। আর সেই আরব আমিরশাহী তথা বিশ্বের অন্যতম আধুনিক শহর দুবাই। বুর্জ খলিফা থেকে ঝাঁ চকচকে ক্রিকেট স্টেডিয়াম, শপিং মল, দুবাই এক্সপো কী নেই এই শহরে! আর এবার আরও এক আন্তর্জাতিক পালক জুড়ল এই শহরের মুকুটে। বিশ্বের প্রথম পেপারলেস প্রশাসন হিসাবে পরিচিত হবে দুবাই।
শনিবার আরব আমিরশাহীর অন্যতম শহর দুবাই আমিরশাহীকে বিশ্বের প্রথম পেপারলেস সরকার হিসাবে ঘোষণা করল স্থানীয় প্রশাসন। ২০১৮ সালে এই উদ্যোগ নেয় প্রশাসন। অবশেষে শনিবার পাঁচটি ধাপে এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করেছে দুবাই আমিরশাহী। দ্য দুবাই পেপারলেস স্ট্র্যাটেজি গোটা আমিরশাহী জুড়ে বলবৎ হয়েছে। কোনও সরকারি কর্মী বা উপভোক্তাকে কোনও রকম নথি প্রিন্ট করা, বহন করতে হবে না। কোনওরকম কাগজপত্র ছাড়াই সব কাজ হবে এই শহরে।
এই আমিরশাহীর ৪৫টি সরকারি ক্ষেত্রে এই উদ্য়োগ বলবৎ হয়েছে। ১৮০০-র বেশি ডিজিটাল পরিষেবা এবং ১০ হাজারের বেশি লেনদেন এই ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হবে। এই উদ্যোগে বছরে ৩৩৬০ লক্ষ কাগজ নষ্ট বন্ধ হবে। এছাড়াও এই পদ্ধতিতে দুবাই আমিরশাহীর ১৩০ কোটি দিনার এবং ১ কোটি ৪০ লক্ষ মানব-ঘণ্টা বাঁচবে।
প্রথম ধাপে ২০১৮ সালে সড়ক ও পরিবহন কর্তৃপক্ষ, দুবাই পুলিশ, দুবাই বিদ্যুৎ এবং জল পরিষেবা, আর্থিক উন্নয়ন বিভাগ, পর্যটন ও বাণিজ্য দফতর, বিপণন, জমি ও সম্পত্তি দফতরে শুরু হয় পেপারলেস কাজকর্ম। এইভাবে চার বছরে পঞ্চম ধাপে ৯টি আরও সংস্থা ডিজিটাল হয়ে যায়। মহম্মদ বিন রাশিদ স্পেস সেন্টার, দুবাই ফিউচার ফাউন্ডেশন, সুপ্রিম লেজিসলেশন কমিটিও এতে অন্তর্ভুক্ত হয়।
আরও পড়ুন হিজাব পরায় শিক্ষিকাকে বদলি করল স্কুল, ক্ষুব্ধ পড়ুয়া-অভিভাবকরা, শুরু আন্দোলন
এই প্রসঙ্গে গর্বের সঙ্গে দুবাইয়ের ক্রাউন প্রিন্স (যুবরাজ) এবং দুবাই এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান শেখ হামদান বিন মহম্মদ বিন রাশিদ আল মাকতুম জানিয়েছেন, "চার বছর আগে শেখ মহম্মদ বিন রাশিদ আল মাকতুম, আরব আমিরশাহীর প্রধানমন্ত্রী তথা উপরাষ্ট্রপতি এবং দুবাইয়ের সুলতান একটা লক্ষ্য নিয়েছিলেন, দুবাইকে আরও আধুনিক করে তুলবেন। কোনও সরকারি কর্মী বা উপভোক্তা কাগজপত্র ছাড়াই সব কাজ করবেন। সেটা এতদিন সফল হল।" সরকারের DubaiNow অ্যাপে এখন ১৩০টির বেশি স্মার্ট সিটি পরিষেবা এবং ১২টি মুখ্য ডিজিটাল পরিষেবা পাওয়া যায়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন