ফেব্রুয়ারি মাসে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে অন্তত ৪ থেকে ৬ হাজার মায়ানমারের শরণার্থী ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। এমনটাই জানাল রাষ্ট্রসংঘ। রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র জানিয়েছেন, যেভাবে মায়ানমারে সেনার নির্যাতন বেড়েছে তাতে বহু মানুষ দেশে ছেড়ে শরণার্থী হয়েছেন প্রতিবেশী দেশগুলিতে। রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থী বিষয়ক দফতর জানিয়েছে, গত সপ্তাহের পরিসংখ্যান অনুযায়ী কমপক্ষে ৬০ হাজারের বেশি মহিলা-শিশু এবং পুরুষ নির্বিশেষে ঘরছাড়া।
মার্চ-এপ্রিলে ১৭০০-র বেশি শরণার্থী প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকে ফিরেও এসেছেন। ৪ থেকে ৬ হাজার মানুষ ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন বলে মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টেফান দুইয়ারিক জানিয়েছেন। বুধবার একটি প্রেস বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন। ভারতের সঙ্গে মায়ানমারের ১৬০০ কিমির বেশি দীর্ঘ কাঁটাতারহীন-জনমানবশূন্য সীমান্ত এলাকা রয়েছে। তার পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরও রয়েছে। চারটি উত্তর-পূর্বের রাজ্য অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, মণিপুর এবং মিজোরামের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে মায়ানমারের।
প্রসঙ্গত, মায়ানমারে রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধি দল সমস্ত প্রতিবেশী দেশগুলিকে নিপীড়িত শরণার্থীদের আশ্রয় এবং সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে। একইসঙ্গে মায়ানমার সেনার কাছে হিংসা-হানাহানি বন্ধ করে শান্তি প্রতিষ্ঠার বার্তা দিয়েছে। নিরীহ মানুষের উপর গুলির ব্যবহার বন্ধ করার আর্জি জানিয়েছে। দুইয়ারিকের কথায়, রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধিরা মায়ানমারে ঘরছাড়াদের সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বিগ্ন। সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে বেলাগাম সন্ত্রাস হচ্ছে ওই দেশে।
রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টি এস তিরুমূর্তি টুইট করে কাউন্সিলকে জানান, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির সংগঠন আশিয়ানের প্রস্তাবনার সঙ্গে সহমত ভারত। ভারত মায়ানমারে রাজনীতিবিদদের মুক্তি এবং শান্তির পক্ষে রয়েছে। নয়াদিল্লির এই বিষয়ে অবস্থান বদলায়নি।