কবে উদ্ধার পাবেন? কীভাবে উদ্ধার পাবেন? জানেন না ইউক্রেনের সুমি স্টেট মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের বেসমেন্টে আটক থাকা ভারতীয় পড়ুয়ারা। বিদেশ মন্ত্রক কথা দিয়েছে। রাশিয়াকে সুমি এলাকায় গোলাবর্ষণ বন্ধ করতে অনুরোধ করছে। কিন্তু, মস্কো শুনছে না। উলটে, একতরফা ভাবে দাবি করছে যে ভারতীয় পড়ুয়াদের পণবন্দি করে রেখেছে ইউক্রেন। ভারত সেকথা সরকারি ভাবে অস্বীকার করার পরও একই দাবি করে যাচ্ছেন পুতিন।
ভারতের সঙ্গে তাঁর যত ভালো সম্পর্কই থাক না-কেন, পুতিন যে বিষয়টিকে অযথা জটিল করতে চাইছেন, সেই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই বিদেশ মন্ত্রকের। সুমি-তে মিথ্যে রটনা ছড়ানো, একটা সহজ বিষয়কে অযথা জটিল করার মস্কোর চেষ্টাকে মোটেই ভালো চোখে দেখছে না বিদেশ মন্ত্রক। কিন্তু, কোনও উপায়ও নেই।
প্রবল শক্তিধর রাশিয়ার ইউক্রেনে দাদাগিরি দেখেও গোটা বিশ্ব শুধু নিষেধাজ্ঞার ওপর ভরসা করে কার্যত হাত গুটিয়ে আছে। সেখানে পাকিস্তান আর চিনের মতো বিরূপ শক্তিশালী প্রতিবেশীর ঘেরাটোপে থাকা ভারতের আন্তর্জাতিক রাজনীতির বাধ্যবাধকতা পেরিয়ে সরব হওয়ার মতো সুযোগ কোথায়? সবচেয়ে বড় সমস্যা যে, এসবের মধ্যে উদ্ধারকাজ চালানোও যেত। কিন্তু, রাশিয়ার প্রবল গোলাবর্ষণে সুমি শহর থেকে পরিবহণ উধাও হয়ে গিয়েছে। কথায় বলে, নিজে বাঁচলে বাপের নাম। কে আর, এই প্রবল গোলার মধ্যে জীবন বাজি রেখে বাস বা গাড়ি চালাবে! তাই পড়ুয়ারাও শহর থেকে বেরোতে পারছেন না।
এদিকে সুমি স্টেট মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের বেসক্যাম্পে আটকে থাকা ভারতীয় পড়ুয়াদের অবস্থা ক্রমশই খারাপ হচ্ছে। হস্টেলে জল, বিদ্যুতের অভাবও দেখা দিয়েছে। শনিবারও এই পড়ুয়াদের ঘুম ভেঙেছে গোলার শব্দে। পরিস্থিতির কথা জানে বিদেশ মন্ত্রকও। কিন্তু, জানলেও কার্যত কিছুই করার নেই। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি এই প্রসঙ্গে টুইট করেছেন, 'ইউক্রেনের সুমিতে আটকে থাকা ভারতীয় পড়ুয়াদের নিয়ে আমরা সত্যিই গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।'
এখনও পর্যন্ত ৬৩টি বিমানে ১৩,৩০০ ভারতীয় পড়ুয়াকে ইউক্রেন থেকে ফেরানো সম্ভব হয়েছে। শনিবার একথা জানিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রক। কিন্তু, সুমির ৮০০ পড়ুয়ার কী হবে, তা এখনও অনিশ্চিত।
Read story in English