আফগানিস্তানে দীর্ঘ দুই দশক পর ফের তালিবানি রাজ শুরু। দেশের নতুন নামকরণ হচ্ছে ইসলামিক এমিরেটস অফ আফগানিস্তান। যদিও তালিবানরা আশ্বস্ত করেছে, আফগান নাগরিক ও বিদেশিদের কোনও ক্ষতি তারা করবে না। কিন্তু বছর কুড়ি আগে আফগানিস্তানের অবস্থা এখনও অনেকর স্মৃতিতে টাটকা। এই অবস্থায় আফগান শিখ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ সোমবার তালিবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করল কাবুলে। শিখ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা তালিবানদের কাছে শান্তি ও সুরক্ষার আবেদন জানিয়েছেন।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে কাবুল থেকে টেলিফোনে গুরদ্বারা দশমেশ পিতা শ্রী গুরু গোবিন্দ সিংজি সিং সভা কর্তে পারওয়ানের প্রেসিডেন্ট গুরনাম সিং জানিয়েছেন, অন্তত ৩০০ মানুষ, তার মধ্যে ২৮০ জন শিখ ও ২০-৩০ জন হিন্দু মানুষ গুরদ্বারাতে আশ্রয় নিয়েছেন। তালিবানরা কাবুল দখল করতেই তারা নিরাশ্রয়।
গুরনাম জানিয়েছেন, এদিন সন্ধেয় কাবুলে দুই পক্ষের প্রতিনিধির মধ্যে আলোচনা হয়। তালিবান নেতারা আমাদের শান্তি ও সুরক্ষার আশ্বাস দিয়েছেন। বলেছেন, দেশ ছেড়ে পালানোর কোনও প্রয়োজন নেই। আমরা শান্তিতে আগের মতো থাকতে পারব। এমনকী আমাদের ধর্মীয় আচার-রীতি মানতে পারব। তাতে কোনও হস্তক্ষেপ হবে না। তাঁরা আমাদের নম্বরও দিয়েছে যাতে আমরা বিপদে পড়লে যোগাযোগ করতে পারি।
আরও পড়ুন নিজের সিদ্ধান্তে অটল, তালিবান উত্থানের দায় আফগানদের ঘাড়েই ঠেললেন বাইডেন
তিনি আরও বলেছেন, জালালাবাদ ও গজনীতে বসবাসকারী শিখ ও হিন্দু পরিবারগুলোও কাবুলে এসে দুটি গুরদ্বারাতে আশ্রয় নিয়েছে। কর্তে পারওয়ান ও গুরদ্বারা মানসা সিং জি-তে। একদা কয়েক লক্ষ শিখ ও হিন্দুর বাস ছিল এই দেশে। তারপর ১৯৯২ সালে মুজাহিদিনরা আফগানিস্তানের দখল নিতেই হাজারে হাজারে নিপীড়িত শিখ-হিন্দু দেশ ছেড়ে পালান। তারপর ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত তালিবান জমানায় সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার বাড়ে। তবে ২০১৮ এবং গত বছর শিখ এবং হিন্দুদের উপর দুটি বড় হামলায় নিরাপত্তা নিয়ে আরও উদ্বিগ্ন তাঁরা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন