প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করলো ফেসবুক। গত জানুয়ারিতে ক্যাপিটল হিংসা নিয়ে বিতর্কিত পোস্টের জেরেই এই কড়া পদক্ষেপ বলে জানিয়েছে মার্ক জুকেরবার্গের সংস্থা। এক বিবৃতিতে ফেসবুক ঘোষণা করেছে, ৬ জানুয়ারি থেকে এই বিধিনিষেধ কার্যকর হবে। তবে, জনগণের নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঝুঁকি কমেছে বলে মনে করা হলে ট্রাম্পের উপর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ কমতে পারে।
Advertisment
এই প্রথম নয়। মার্কিন মুলুকে নির্বাচনের সময় হিংসার ঘটনা ঘটে। যাতে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তার জেরে ওই সময় সাময়িকভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। যদিও এবার পাকাপাকিভাবে দীর্ঘ সময়ের জন্য নিষেধাজ্ঞামূলক পদক্ষেপ করা হয়েছে।
ফেসবুক মনে করে ট্রাম্পের পোস্টের জেরে ক্যাপিটল বিক্ষোভে উস্কানি ছড়িয়ে পড়েছিল। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ প্রয়োজন। কিন্তু, ট্রাম্পকে বরাবরের মতো নিষেধ ঘোষণা করা হবে নাকি তাঁর অ্যাকাউন্ট সাময়িক বরখাস্ত করে আবার ফিরিয়ে দেওয়া হবে-তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। সম্পূর্ণ বিষয়টি ওভারসাইট বোর্ডের কাছে পাঠানো হয়। ওভারসাইট বোর্ড জানিয়ে দেয়, সেই সময় ফেসবুকের তরফে ট্রাম্পকে সাসপেন্ডের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। কিন্তু, অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করার মতো যুক্তি দেওয়া হয়নি ফেসবুকের তরফে। এও বলা হয় যে, অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেনসন ফেসবুকের নীতির অংশ নয়। তাই যুক্তি স্পষ্ট ও স্বচ্ছ হতে হবে বলে বোর্ডের তরফে বলা হয়। এরপর ট্রাম্পকে ২ বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হয়।
ফেসবুকের গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স সংক্রান্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট নিক ক্লেগ বলেছেন, 'ট্রাম্পের পদক্ষেপ ফেসবুকের বিধিনিষেধ কঠোর ভাবে লঙ্ঘন করেছে। তার জেরেই এই শাস্তিমূলক পদক্ষেপ। যদিও শাস্তিই হোক বা মা হোক-তা নিয়ে বিতর্কিত হবেই। এঅনেকেই মনে করেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে এভাবে সাসপেন্ড করা ঠিক হয়নি। আবার অনেকে বিশ্বাস করেন, ট্রাম্পকে এখনই সারা জীবনের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা উচিত। বর্তমান বিরোধীদের থেকে এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা হতে পারে। কিন্তু ওভারসাইট বোর্ডের নির্দেশে মেনেই নির্দিষ্ট পদ্ধতিতেই সব হয়েছে।'