আফগানিস্তান দখলের পর পরই তালিবান সদস্যের সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন তিনি। প্রথম মহিলা সাংবাদিক যিনি চ্যানেলের স্টুডিওতে বসে তালিবান সদস্যের ইন্টারভিউ নিয়ে বিশ্বের নজরে আসেন। আফগানিস্তানে মহিলাদের স্বাধীনতা নিয়ে কড়া প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছিলেন সেই সাংবাদিক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁকেও মৃত্যুভয় গ্রাস করল। দেশ ছেড়ে পালালেন বেহেস্তা আরঘন্দ।
সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বেহেস্তা বলেছেন, তালিবানের কথামতো কাজ করতে তিনি পারবেন না। প্রাণের ভয়ও ছিল তাঁর। তালিবানের কথায় আর কাজে কোনও মিল নেই। মহিলাদের চ্যানেলে কাজ করা বিপজ্জনক। সবার মতো তাঁরও তালিবানকে ভয় পান।
তাঁর দাবি, তিনি যে সংবাদমাধ্যমে কাজ করতেন সেখানকার বাকি সাংবাদিকরাও দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে একজন মহিলা হিসাবে আপগানিস্তানে কাজ করা প্রায় অসম্ভব। তাই পরিবারের সঙ্গে কাতারে চলে গিয়েছেন বেহেস্তা।
আরও পড়ুন তালিব নির্মমতা, নিজের মেয়ের চোখ উপড়াতেও বাধেনি বাবার, ভারতে হাহাকার আফগান উদ্বাস্তুর
বেহেস্তার বিস্ফোরক অভিযোগ, তালিবান তাদের নির্দেশ মেনে কাজ করতে চাপ দিয়েছিল। তা একজন সাংবাদিকের পক্ষে কোনওভাবেই সম্ভব নয়। তাঁর কথায়, তালিবান যা বলছে তা করতে যদি মেনে নিই তাহলে হয়তো দেশে ফিরতে পারবেন তিনি। যা তাঁর পক্ষে অসম্ভব।
মহিলা সাংবাদিকের দাবি, তালিবান মুখে বিশ্বের সামনে যা-ই বলুক, কিন্তু মিডিয়ায় বা সরকারে মহিলাদের কাজ করতে দিতে তারা চায় না। নারী ক্ষমতায়নে তারা বিশ্বাসী নয়। তাদের অধিকার ও শিক্ষার প্রসারে লাগাম টেনে তালিবান। তালিবান সদস্যের সাক্ষাৎকার নিয়েই তিনি বুঝতে পারেন, দেশে থেকে কাজ করা নিরাপদ নয়। তাই কাতারে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন