Advertisment

জালালাবাদে তালিবান-বিরোধী বিক্ষোভে গুলি! মৃত ৩, তালিবান পতাকা নামানোর চেষ্টা

Afghanisthan Update: ২০ অগাস্ট আফগানিস্তানের স্বাধীনতা দিবস। সেই উদ্দেশে জালালাবাদে তালিবানের পতাকা নামিয়ে জাতীয় পতাকা তুলতে গিয়েই দু’পক্ষের সংঘর্ষ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
India acknowledges, Taliban hold positions of power, authority

তালিবানের পতাকা

Afghanisthan Update: আফগানিস্তানের জালালাবাদে প্রদেশে তালিবান-বিরোধী বিক্ষোভে চলল গুলি। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃত তিন, জখম প্রায় ১২ জন। আফগানিস্তানের পূর্ব প্রদেশের এই শহরে বিক্ষোভ চলাকালীন তালিবানের পতাকা নামাতে গেলেই চলে গুলি। আল জাজিরা সংবাদ মাধ্যম সূত্রে এমনটাই খবর।

Advertisment

জানা গিয়েছে, ১৯ অগাস্ট আফগানিস্তানের স্বাধীনতা দিবস। সেই উদ্দেশে জালালাবাদে তালিবানের পতাকা নামিয়ে জাতীয় পতাকা তুলতে গিয়েই দু’পক্ষের সংঘর্ষ। গোটা দেশের যে যে অঞ্চল দখলে নিয়েছে তালিবান, সেই অঞ্চলে নিজস্ব পতাকা ‘জয়ের স্তম্ভ’ হিসেবে তুলেছে তারা। জালালাবাদে সেই পতাকা নামানোর চেষ্টা করেন এক ডজন প্রতিবাদী। বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, প্রতিবাদীদের ছত্রভঙ্গ করতে শূন্যে গুলি ছোঁড়ে তালিবানের সশস্ত্র বাহিনী। লাঠি হাতে তেড়ে যায় তাঁদের দিকে। সেই খবর প্রচার করতে গিয়ে আহত দুই সাংবাদিক। এমনটাই সূত্রের খবর।

এদিকে, কাবুলের উত্তর ভাগে পঞ্জশির উপত্যকায় এখনও তালিবানের পা পড়েনি। এই উপত্যকার তালিবান-বিরোধীরা ২০০১ সাল থেকে তালিবান দমনে মার্কিন সেনাকে সাহায্য করছে। সেই উপত্যকায় তালিবান বিরোধীদের জমায়েত চোখে পড়েছে। সংবাদ সংস্থা এপি সূত্রে এমনটাই খবর। সেই জমায়েতে উপস্থিত দেশের স্বঘোষিত তদারকি প্রেসিডেন্ট আমানুল্লা সালেহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল বিসমিল্লা মহম্মদি, তালিবানের হাতে নিহত বিরোধী জোটের নেতা শাহ মাসৌদির ছেলে আহমেদ মাসৌদি। তবে তালিবানের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে এই জমায়েত কিনা, স্পষ্ট করেনি ওই সংবাদ সংস্থা। এদিকে, ব্রিটেন পৃথকভাবে আফগানিস্তানে তালিবানের সরকারকে স্বীকৃতি দেবে না। আন্তর্জাতিক মঞ্চের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে সে দেশে তালিবান সরকারের ভবিষ্যৎ। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে এই অবস্থান স্পষ্ট করেছেন ব্রিটিশ প্রাইম মিনিস্টার। পড়শি দেশের সামাজিক-রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে বিশ্বের একাধিক তাবড় দেশের রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন পাক প্রধানমন্ত্রী। সেই ফোনালাপের সূত্র ধরেই বরিস জনশন আফগান প্রশ্নে ব্রিটেনের অবস্থান চূড়ান্ত করেছেন।  

জানা গিয়েছে, পাক প্রধানমন্ত্রীর ফোনের পরেই জনসন ইউএস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কথা বলেন। ব্রিটিশ সংসদেও আফগান পরিস্থিতি নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছে। তারপরেই ইউকে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন সূত্রে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন  টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Afganistan latest Kabul Today Jalalabad Protest
Advertisment