মার্কিন ও তালিবানদের মধ্যে কোনও শান্তির চুক্তি হয়নি, বিস্ফোরক প্রাক্তন পাক কূটনীতিক

তালিবানদের একটি মাত্র প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল যে তারা আন্তঃ-আফগান আলোচনায় অংশ নেবে। তবে তারা যে শান্তিতে রাজি হবে তা নয়।

তালিবানদের একটি মাত্র প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল যে তারা আন্তঃ-আফগান আলোচনায় অংশ নেবে। তবে তারা যে শান্তিতে রাজি হবে তা নয়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update

আমেরিকা ও তালিবানদের মধ্যে চুক্তিতে শান্তির কোন উপাদান নেই এবং মূলত যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান থেকে আমেরিকান সেনাদের প্রত্যাহারের বিষয় ছিল এই চুক্তি। এমনটাই বলেছে প্রাক্তন পাকিস্তানি কূটনীতিক।

Advertisment

তিনি সাফ বলেন, “মার্কিন ও তালিবান চুক্তির দীর্ঘকালীন সমালোচক হিসাবে আমি এটিকে শান্তির কোনও উপাদান ছাড়াই প্রত্যাহারের চুক্তি হিসাবে দেখছি। তালিবানদের একটি মাত্র প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল যে তারা আন্তঃ-আফগান আলোচনায় অংশ নেবে। তবে তারা যে শান্তিতে রাজি হবে তা নয়। "মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রাক্তন পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হুসেইন হাক্কানি শুক্রবার একটি ভার্চুয়াল ইভেন্টের সময় এমনটাই জানান।

প্রসঙ্গত, ট্রাম্প প্রশাসন গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে দোহায় তালিবানদের সঙ্গে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তিতে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সুরক্ষার গ্যারান্টি বিনিময়ে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল। চুক্তির অংশ হিসাবে, মার্কিনীরা ১৪ মাসের মধ্যে ১২ হাজার সেনা প্রত্যাহার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল। আফগানিস্তানে বর্তমানে ২৫০০ জন আমেরিকান সেনা বাকী রয়েছে।

মূল বিষয় ছিল- আমেরিকা ১৩৫ দিনে ৮৬০০ সেনা সরাবে এবং ন্যাটো ও অন্যান্য কোয়ালিশনের সেনার সংখ্যাও আনুপাতিকভাবে একইসঙ্গে কমানো হবে। সমস্ত সেনা প্রত্যাহৃত হবে ১৪ মাসের মধ্যে। সমস্তের মধ্যে ধরা থাকবে অসামরিক, অকূটনৈতিক ব্যক্তিবর্গও।

Advertisment

তালিবানরা সন্ত্রাসবিরোধী যে মূল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা হল, তালিবানরা তাদের কোনও সদস্য, কোনও ব্যক্তি বা আল কায়দা সহ কোনও সংগঠনকে আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করে আমেরিকা বা তাদের মিত্রশক্তির বিপদ তৈরি করতে দেবে না।

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

pakistan Afganisthan USA