আমেরিকা-সহ ইউরোপের পশ্চিমী দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়ার কিছুই যাবে আসবে না। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এই স্বর এবার শোনা গেল রাশিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভের গলাতেও। সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যতই চেষ্টা করুক, ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার মানুষ একজোট। রাশিয়ার চার ভাগের তিন ভাগ মানুষ ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে। এমনকী, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সিদ্ধান্তের প্রতিও তাদের সমর্থন রয়েছে। বর্তমানে মেদভেদেভ রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান। থাকেন মস্কোরই গোর্কি সরকারি আবাসনে। সেই কারণে মেদভেদেভের কথা যে আসলে রুশ প্রশাসনেরই বক্তব্য, এনিয়ে দ্বিমত নেই।
কার্যত আমেরিকা-সহ পশ্চিমী দুনিয়াকে হুঁশিয়ারির সুরে মেদভেদেভ জানিয়েছেন, এই নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চেয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে নাগরিকদের উসকে দিতে। কিন্তু, তেমনটা হয়নি। ইতিমধ্যেই যুদ্ধের একমাস পেরিয়েছে। ক্রেমলিন জানিয়ে দিয়েছে, লক্ষ্যপূরণ না-হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে। সেই লক্ষ্য যে ইউক্রেনের নিরস্ত্রীকরণ তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েচে রাশিয়া। শুধু রাষ্ট্র হিসেবে রাশিয়ার বিরুদ্ধেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। রাশিয়ার বিভিন্ন শিল্পপতি, বিশিষ্ট ব্যক্তি-সহ নানা জনের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে আমেরিকা এবং ন্যাটো। দেশের নেতাদের ওপর এই সব শিল্পপতিদের ন্যূনতম প্রভাবও নেই। তারপরও তাঁদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- দ্বীপরাষ্ট্রে চরমে তেলসংকট, শ্রীলঙ্কা সফরে জয়শংকর
এরপরই পরমাণু যুদ্ধের হুমকি দেন প্রাক্তন রুশ প্রেসিডেন্ট। মেদভেদেভ বলেন, রাশিয়ার স্বাধীনতা এবং তার সার্বভৌমত্ব বজায় রাখতে হলে কাউকে কোনও যুক্তি দেখানোর দরকার নেই। যথাযোগ্য জবাব দেবে ক্রেমলিন। উপযুক্ত অস্ত্রেই জবাব দেওয়া হবে। যতই আলোচনা চলুক, ইউক্রেনে তার সেনা অভিযান থেকে রাশিয়া সরবে না। মার্কিন এবং ন্যাটো দেশগুলো ইউক্রেনকে উন্নত অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করলে, রাশিয়াও আধুনিক অস্ত্র প্রয়োগ করবে। ইজরায়েল মধ্যস্থতার চেষ্টা করেছে। কিন্তু, রাশিয়া কাউকে বিশ্বাস করে না-বলে মেদভেদেভ জানিয়েছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে যুদ্ধ বন্ধের আশা নেই। পরিস্থিতি ইতিমধ্যেই জটিল হয়ে উঠেছে। ন্যাটো এবং আমেরিকা এই হামলায় সরাসরি জড়ালে পরিণতি ভালো হবে না। এমনটাই হুঁশিয়ার দিয়েছেন প্রাক্তন রুশ প্রেসিডেন্ট।
Read story in English