আড়াই সপ্তাহ যুদ্ধ চলেছে। কিন্তু, কোনও ফল মেলেনি। শুধু, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ প্রায় জনমানবহীন হয়ে গেছে। ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার গোলা, ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়েছে। তৈরি হয়েছে ব্যাপক ধ্বংসলীলা। কিন্তু, ওই পর্যন্তই। এই যুদ্ধে জয়-পরাজয় এখনও অনিশ্চিত। এহেন পরিস্থিতিতে সোমবার চতুর্থ রাউন্ডের বৈঠক করল যুদ্ধক্লান্ত রাশিয়া-ইউক্রেন।
সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন মধ্যস্থতাকারী। তার মধ্যেই চিন আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক দাবিকে নস্যাত্ করেছে। চিনের বিদেশ দফতরের আধিকারিক জানিয়েছেন, চিনের কাছে রাশিয়া অস্ত্র চেয়েছে বলে যা রটেছে, সবটাই ভুয়ো। এমন কিছুই ঘটেনি। এটা স্রেফ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রটনা।
একদিন আগেই এলভিভে আছড়ে পড়েছিল রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র। তাতে অন্তত ৩৫ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এরপরই প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি ন্যাটোর কাছে রাশিয়ার বিমানের জন্য নো ফ্লাইং জোন ঘোষণার দাবি জানিয়েছিলেন। তারপরই এল চতুর্থ রাউন্ডের বৈঠকের বার্তা। ভিডিওর মাধ্যমে এই বৈঠক হয়েছে। এমনটাই জানান ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের পরামর্শদাতা মিখাইলো পোদেলিয়াক।
আরও পড়ুন- এয়ার ইন্ডিয়ার দায়িত্বে টাটাদের ঘরের লোকই
যুদ্ধ যখন কখনও আলোচনা, তো কখনও গোলাগুলি, এই অবস্থায়। সেই সময় বিশ্ববাসীকে ভয় ধরিয়ে দিয়ে বার্তা দিয়েছেন চেরনোবিল পরমাণু কেন্দ্রের কর্মীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, রাশিয়ার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে এই পরমাণু কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর আগে ওই পরমাণু কেন্দ্রের বিদুত্ সরবরাহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তারপর বিদ্যুত্ সরবরাহ ফের সচল করা হয়।
কিন্তু, ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় চেরনোবিল পরমাণু কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার জেরে ওই পরমাণু কেন্দ্র থেকে তেজস্ক্রিয়তা ছড়ানো আশঙ্কা নতুন করে দেখা দিয়েছে। অবিলম্বে এই পরমাণু কেন্দ্র সারাতে হবে। না-হলে বড়সড় বিপদ দেখা দিতে পারে। এমনই আশঙ্কা চেরনোবিলের আধিকারিক ইউকেরেনেরগোর।
তার মধ্যেই মধ্যস্থতাকারী সোমবার রাতের দিকে জানিয়ে দেন, বৈঠক আপাতত চলবে। বেশ কিছু কারণে বৈঠক সোমবার মাঝপথেই থেমে গিয়েছে। আরও আলোচনা দরকার। সেই কারণে মঙ্গলবার ফের বৈঠক হবে। উভয়পক্ষই বৈঠকে রাজি হয়েছে।
Read story in English