ওমিক্রন আতঙ্কে ত্রস্ত বিশ্ব। নাজেহাল অবস্থা বিশ্বের একাধিক দেশের। তার মাঝেই মঙ্গলবার এই টুইটে ওমিক্রন নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছেন, মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। কী বলছেন গেটস? তিনি এক টুইটার বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, ইতিহাসে যে কোনও ভাইরাসের চেয়ে দ্রুত ছড়িয়েছে ওমিক্রন। একই সঙ্গে তিনি সকলের কাছে আবেদন করেছেন কোভিড বিধি মানে চলার জন্য এবং সঠিক সময়ে টিকা নেওয়ারও আবেদন জানিয়েছেন। একই সঙ্গে বুস্টার ডোজের প্রয়োজনীয়তার কথাও তিনি তাঁর টুইটে উল্লেখ করেন।
তিনি তাঁর টুইট বার্তায় লিখেছেন, “যখন মনে হচ্ছিল জীবন স্বাভাবিক হয়ে উঠবে, সব কিছু আবার আগের মতো হয়ে উঠবে, ঠিক সেই সময়েই আমরা কোভিডের সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে প্রবেশ করেছি, ওমিক্রন আমাদের সকলের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। মনে হয় সকলেই আমরা এই নতুন প্রজাতি দ্বারা কমবেশি আক্রান্ত হব। আমাদের চূড়ান্ত সতর্ক থাকতে হবে। আমি আমার সকল ভ্রমণের পরিকল্পনা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছি”। তিনি আরও বলেছেন, এই ভাইরাসের চরিত্র সম্পর্কে এখনও খুব বেশি তথ্য আমাদের সামনে এসে পৌঁছায়নি, তাই আমাদের আগের থেকেও অনেক বেশি সজাগ থাকতে হবে, এবং অপরকে সজাগ রাখতে হবে”।
‘এর মধ্যে অনেকগুলো ফ্যাক্টর কাজ করছে, কত মানুষ টিকার দ্বিতীয় ডোজ এখনও পাননি, কত দ্রুত এই ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ছে অথবা এই ভ্যারিয়েন্টের মারণ ক্ষমতা কতটা ইত্যাদি অনেকগুলো বিষয় এখনও দেখার বাকী রয়েছে’, গেটস লিখেছেন।
ইতিমধ্যেই বিশ্বে লাফিয়ে বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই ৯১টি দেশে এই ভাইরাস তার দুর্দান্ত ফর্মে ব্যাটিং করা শুরু করেছে। ভারতেও পাল্লা দিয়ে বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। মাত্র কয়েক দিনেই সংখ্যাটা ২০০ ছাড়িয়েছে। করোনা অতিমারির গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে ওমিক্রন। সতর্কবার্তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। তাই বিশ্বের সমস্ত দেশগুলিকে টিকাকরণে গতি আনার পরামর্শ দিলেন হু প্রধান টেড্রস আধানম ঘেব্রেইসুস। পাশাপাশি সংক্রমণ থেকে মানুষকে রক্ষা করার জন্য বিধিনিষেধ মেনে চলার আর্জি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরাই পারি ওমিক্রনকে আটকে বিশ্বকে সুরক্ষিত রাখতে। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট দ্রুত গতিপথ পরিবর্তন করছে। আর তাই দ্রুত সবার টিকাকরণ জরুরি।’
গেটস তার টুইটে একটি ভাল দিক তুলে ধরেছেন, তিনি লিখেছেন, “অনেক গবেষণা জানিয়েছে, করোনার এই নয়া স্ট্রেন বেশিদিন স্থায়ী হবে না, কোনও কোনও গবেষণায় উঠে এসেছে, মাত্র তিনমাস স্থায়ী হতে পারে নয়া এই প্রজাতি। তিনি সকলকে সাবধান করে লিখেছেন, কয়েকটা মাস যদি আমরা সকলে একটু সচেতন থাকতে পারি তাহলে ২০২২ সালের মধ্যেই আমরা পারব অতিমারীকে হারিয়ে আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে”।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন