এজিয়ান সাগরে নৌকাডুবি। শুক্রবার সন্ধেয় নৌকাডুবিতে গ্রীক জলসীমার কাছে মৃত্যু হল অন্তত ১৩ জনের। গত তিনদিনে নৌকাডুবিতে অন্তত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের প্রত্যেকেই শরণার্থী। ইউরোপের মূল ভূখণ্ডে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন তাঁরা।
জানা গিয়েছে, চোরাচালানকারীরা তুর্কি থেকে ইতালিতে শরণার্থীদের পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে। অবৈধভাবে পারাপারের কারণ হল এজিয়ান সাগরে পূর্বদিকে দ্বীপপুঞ্জে গ্রীক নৌসেনার ব্যাপক কড়া নজরদারি। ফল ঘুরপথে অপেক্ষাকৃত প্রতিকূল দিক থেকে নৌকা পারাপারের সময় এই বিপর্যয় ঘটছে বার বার।
উপকূলরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে, শুক্রবারের দুর্ঘটনায় ৬২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। প্যারোস দ্বীপ থেকে ৮ কিমি দূরে মধ্য এজিয়ান সাগরে নৌকাডুবি হয়। জীবিতরা জানিয়েছেন, নৌকায় অন্তত ৮০ জন ছিলেন। রাতভর তল্লাশি চালাতে নামে পাঁচটি কোস্টগার্ড টহলদার বোট, নটি প্রাইভেট ভেসেল, একটি চপার এবং সেনার বিমান। কোস্ট গার্ডের ডুবুরিও নামানো হয়।
গ্রীক পুলিশ জানিয়েছে, তুর্কির চোরা কারবারিরা নৌকায় অতিরিক্ত যাত্রী তুলে শরণার্থীদের পারাপার করায়। ইতালিতে পৌঁছে দেয় তাঁদের।
আরও পড়ুন মাঝনদীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, যাত্রীবাহী জাহাজে আগুন লেগে মৃত কমপক্ষে ৩৬
এর আগে বৃহস্পতিবার ১১ জনের মৃত্যু হয়েছিল নৌকাডুবিতে। সমুদ্রে অবস্থিত বিরাট পাথরের চাঁইয়ে ধাক্কা লাগার ফলে নৌকাডুবি হয়। এথেন্সের দক্ষিণে ২৩৫ কিমি দূরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। শুক্রবার কোস্ট গার্ড জানায়, ৯০ জন জীবিত উদ্ধার হয়। তাঁদের মধ্যে ৫২ জন পুরুষ, ১১ জন মহিলা এবং ২৭টি শিশু ছিল। তারা পাথুরে চরের উপর কোনওরকমে ভেসে উঠেছিল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন