আগামী কয়েক সপ্তাহে ইউরোপের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধের বেশি মানুষ করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন দ্বারা সংক্রমিত হবেন বলে দাবি বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার। WHO জানিয়েছেন, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকেই ওমিক্রনে দাপটে নাজেহাল অবস্থা ইউরোপের একাধিক দেশের। উদ্বেগ বাড়িয়েছে, ফ্রান্স, ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দৈনিক সংক্রমনের সংখ্যা ১৩ লক্ষের কাছাকাছি। সেই সঙ্গে বেড়েছে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা এবং মৃত্যুও। একই পরিস্থিতি ফ্রান্স এবং ব্রিটেনেও।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুসারে, মাত্র দুসপ্তাহে সংক্রমণ বেড়েছে দ্বিগুণ। এই পরিস্থিতিতে ডব্লিউএইচও ইউরোপের পরিচালক কমিটির অন্যতম প্রধান ডঃ হ্যান্স ক্লুজ মঙ্গলবার দাবি করেন, আগামী কয়েক সপ্তাহে ইউরোপের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকের বেশি ওমিক্রনে আক্রান্ত হবেন। সেই সঙ্গে তিনি হাসপাতালগুলিকে তৈরি থাকতে বলেছেন।
তিনি বলেন ‘সংক্রমণ বাড়লে পাল্লা দিয়ে বাড়বে হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যুর সংখ্যা। তাঁর আগাম সাবধান-বানী, ‘যে হারে প্রতিদিন বাড়ছে সংক্রমণ তাতে অচিরেই ওমিক্রন একটা বিপুল সংখ্যক জনসংখ্যার ওপর সুনামির মতই আছড়ে পড়বে’। এপ্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছে, ‘ইউরোপের ২৬ টির বেশি দেশে প্রতিসপ্তাহে মোট জনসংখ্যার ১% সংক্রমণের শিকার হচ্ছেন। আর তাতেই পরিস্থিতি আরও খারাপে দিকে যাবে বলে তাঁর অভিমত’। তিনি আরও জানিয়েছেন ‘বিশ্বের সব দেশের কাছেই আগামী ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ’।
একই সঙ্গে ক্লুজ জানান, ‘ওমিক্রন যেভাবে দ্রুততার সঙ্গে তার দাপট দেখাতে শুরু করেছে তার জন্য সাধারণ মানুষজনকেও আগের থেকে আরও বেশি সাবধান হতে হবে’। সেই সঙ্গে তিনি ‘বাড়ির ভিতর মাস্ক পড়ে থাকা, স্বাস্থ্যকর্মী এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের সহ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের বুস্টার ডোজের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন’। পাশাপাশি বিশ্বের ধনী দেশ দেশগুলিকে টিকা দানে পিছিয়ে পরা দেশগুলির পাশে থাকার আবেদন জানান তিনি।
ক্লুজ বলেন ‘যেভাবে ওমিক্রন ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে তাতে তিনি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন’। তিনি আরও জানান, ‘ইউরোপের পূর্বদিকের দেশগুলিতে এবার ওমিক্রন তার দাপট দেখাতে শুরু করেছে’। একই সঙ্গে তিনি যে সকল দেশে এখনও টিকাদান সম্পূর্ণ হয়নি, সেই সকল দেশ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন’। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ডেনমার্কে টিকা দেওয়া মানুষের তুলনায় টিকা না নেওয়া মানুষের হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা প্রায় ৬ গুন’।