Hamas has rejected the latest cease-fire proposal: ইজরায়েল মূল দাবিগুলোই মানছে না। তাই সাম্প্রতিকতম সংঘর্ষবিরতি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করল গাজার জঙ্গি সংগঠন হামাস। সোমবার রাতের দিকে হামাস বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের সঙ্গে মধ্যস্থতাকারীদের কথা হয়েছে। সংঘর্ষবিরতি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের কথা তারা মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়ে দিয়েছে। জঙ্গি সংগঠনের স্পষ্ট কথা, তারা মার্চ মাসের আগের অবস্থানেই অনড় থাকছে।
হামাসের বক্তব্য, ইজরায়েলকে আগে গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। যুদ্ধ সম্পূর্ণরূপে শেষ করতে হবে। বাস্তুচ্যুত মানুষকে গাজায় ফিরতে দিতে হবে। সত্যিকারের বন্দি বিনিময় করতে হবে। সেই সব দাবির ব্যাপারে ইজরায়েল কোনও বক্তব্যই জানায়নি। এর আগে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। গাজায় আটক সকল পণবন্দিদের মুক্তির দাবি জানিয়ে একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। তারপরই হামাসের বিবৃতি সামনে এসেছে।
গাজা নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ ইজরায়েলের সঙ্গে আমেরিকার বিরোধকে উসকে দিয়েছে। কারণ, আমেরিকাও রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য। আমেরিকা চাইলে নিরাপত্তা পরিষদের সংঘর্ষবিরতি প্রস্তাবকে আটকাতে পারত। নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের ভেটো প্রয়োগ করার ক্ষমতা আছে। সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করলেই পরিষদে যে কোনও প্রস্তাবের গ্রহণ আটকানো যায়। কিন্তু, আমেরিকা সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করেনি।
জবাবে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ওয়াশিংটনে ইজরায়েলের উচ্চপর্যায়ের সফর বাতিল করেছেন। হামাসের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন। ইজরায়েল যুদ্ধবিরতি করতে চাইছে, এটা হামাসের 'ভ্রম' বলেই তিনি কটাক্ষ করেছেন। নেতানিয়াহু পণবন্দিদের মুক্তির পর ফের হামাসের ওপর হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছেন। পাশাপাশি, হামাসকে ধ্বংস না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
ইজরায়েলের অভিযোগ, হামাস এখনও প্রায় ১০০ জনকে পণবন্দি করে রেখেছে। পাশাপাশি, প্রায় ৩০০ জনের দেহাবশেষ তাদের কাছে আছে। ২৪০ জন প্যালেস্তিনীয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে নভেম্বরে এক সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতি চলে। সেই সময় শতাধিক পণবন্দিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস।
এই ব্যাপারে রাষ্ট্রসংঘের শীর্ষ মানবাধিকার সংস্থার এক বিশেষজ্ঞ সোমবার বলেছেন, গাজায় ইজরায়েল গণহত্যা চালাচ্ছে। একথা বিশ্বাস করার 'যুক্তিসঙ্গত কারণ' আছে। আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলোর আধিকারিকদের দাবি, গাজার মোট জনসংখ্যা ২৩ লক্ষ। তার বেশিরভাগই খাদ্যের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। যার জেরে ওই এলাকার উত্তরাঞ্চলে দুর্ভিক্ষ আসন্ন।
আরও পড়ুন- মালদ্বীপের মতই ‘ইন্ডিয়া আউট’ প্রচার! ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক! ব্যাপক হইচই বাংলাদেশে
গাজার স্বাস্থ্য বিভাগের দাবি, অবরুদ্ধ এই এলাকায় ৩২ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৪ হাজার জনেরও বেশি। তারমধ্যে জঙ্গিদের পাশাপাশি সাধারণ নাগরিকও আছেন। নিহত গাজাবাসীর মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ আবার নারী ও শিশু। এর আগে গত ৭ অক্টোবর হামাস জঙ্গিরা গাজা থেকে অতর্কিত হামলা চালায়। ২৫০ জনকে পণবন্দি করে। নিহত হন ১,২০০ জন। যার জেরে, এই সংঘর্ষের বা যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটে।