সংক্রমণের আশঙ্কায় প্রায় ২ হাজার হ্যামস্টার ইঁদুরকে নিধনের নির্দেশ দিল হংকং প্রশাসন। সেইসঙ্গে দেশে আমদানির ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। এর কারণ এক পোষ্যের দোকানের মালিক, এক ক্রেতা এবং অন্তত ১১টি হ্যামস্টার কোভিড পজিটিভ হয়েছে। তাও আবার ডেল্টায় আক্রান্ত।
মঙ্গলবার আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এটা স্পষ্ট নয় যে হ্যামস্টারদের থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। তবে নাগরিকদের উদ্দেশে প্রশাসনের বার্তা গত ২২ ডিসেম্বর থেকে আমদানি করা হ্যামস্টার প্রশাসনকে সমর্পণ করতে হবে। যাতে সংক্রমণ না ছড়ায়।
হংকংয়ের কৃষি, মৎস্য এবং পরিবেশ সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী ডিরেক্টর থমাস সিট জানিয়েছেন, "হ্যামস্টার জীবাণু বহন করছে। যা অন্য প্রাণীকে সংক্রমিত করছে। অন্য হ্যামস্টার এমনকী মানুষকেও। আমরা প্রাণী মারতে চাই না। কিন্তু প্রাণী এবং মানুষের সুরক্ষার জন্য এটা করতে হচ্ছে। আমাদের আর কোনও উপায় নেই। তাই এই চরম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।"
প্রসঙ্গত, সোমবার হংকংয়ের মূল দ্বীপের কসওয়ে বে জেলায় লিটিল বস পেট শপের এক কর্মী ডেল্টায় আক্রান্ত হন। তার পর আরও টেস্টের পর জানা যায়, ওই কর্মীর সংস্পর্শে আসা এক ক্রেতাও সংক্রমিত হয়েছেন। তিনি হ্যামস্টারের খাবার কিনেছিলেন নিজের মেয়ের সঙ্গে। এটা ৭ জানুয়ারির ঘটনা। প্রাথমিক ভাবে জানা যায়, ক্রেতার স্বামী ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হন।
আরও পড়ুন করোনা অতিমারির শেষ কবে? বড় সড় আপডেট দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
এর পর আরও টেস্টের পর দেখা যায়, ওই দোকানে থাকা ১১টি হ্যামস্টার সংক্রমিত। স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এমন কোনও প্রমাণ তারা পাননি যে হ্যামস্টার থেকেই মানুষে করোনা ছড়িয়েছে। কিন্তু সেগুলি ল্যাবে সংক্রমিত হয়েছে বলে তাঁরা নিশ্চিত। তাঁরা জানিয়েছেন, নেদারল্যান্ডস থেকে দুটি কার্গোতে প্রচুর হ্যামস্টার আমদানি হয়েছিল ২২ ডিসেম্বর। প্রায় ১৮০০-র মতো। তার পর ৭ জানুয়ারি আরও ৮০০ এই ইঁদুর আসে হংকংয়ে।
শহরের ৩৪টি নথিভুক্ত হ্যামস্টারের দোকান বাজেয়াপ্ত করে প্রাণীগুলির টেস্ট করা হবে এবং তারপর সেগুলিকে নিধন করা হবে।