Afghanisthan Update: কাবুল তালিবানের কব্জায় যেতেই ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। এবার সে দেশে স্থিতি ফেরাতে আন্তর্জাতিক মঞ্চকে উদ্যোগী হতে আবেদন করল নয়াদিল্লি। ভারতের মন্তব্য, ‘যে ভাবে আফগানিস্তানের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে, আশা করবি তার প্রভাব পড়শি দেশগুলোয় পড়বে না। এবং সে দেশ লস্কর এবং জইশের মতো জঙ্গি গোষ্ঠীকে মদত দেবে না।‘
রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কাউন্সিলের বিশেষ অধিবেশনে এদিন আফগানিস্তান নিয়ে সরব হয়েছিলেন ভারতের দূত ইন্দ্রমণি পাণ্ডে। তিনি বলেন, ‘ক্রমশ সে দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্রটি বেআব্রু হচ্ছে। আফগান নাগরিকদের মৌলিক অধিকার যেভাবে খর্ব হচ্ছে, তাতে উদ্বিগ্ন সবাই। আশা করি পড়শি দেশে দ্রুত স্থিতাবস্থা ফিরবে। এবং দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার নিরাপত্তা এবং মানবিক পরিস্থিতি সুস্থির থাকবে।‘
ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর, লস্কর এবং হাক্কানি নেটওয়ার্ক আফগানিস্তানের প্রভাব বাড়াতে শুরু করেছে। সে দেশে তালিবান সরকার গড়লে হাক্কানি নেটওয়ার্কের একটা ভূমিকা থাকবেই। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গে হওয়া একাধিক বৈঠকে প্রথমসারিতে উপস্থিত ছিল হাক্কানি প্রধান।
পাশাপাশি পাকিস্তানও চেষ্টা করবে তাদের মদতপুষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোকে আফগানিস্ত্যনে ঠাই দেওয়ার। কারণ পাক মাটিতে সন্ত্রাসবাদকে মদতের অভিযোগে আন্তর্জাতিক মঞ্চের ব্যাড বুকে ইসলামাবাদ। পাশাপাশি ২০০১-২০২১ প্রায় ২০ বছর পাক মদতেই পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে ঘাপটি মেরে ছিল তালিবানরা। সেই কৃতজ্ঞতায় ভারত-বিরোধী কাজে আফগান মাটি ব্যবহারে পাকিস্তানকে সাহায্য করতে পারে তালিবানরা। এদিন রাষ্ট্র সংঘে ঘুরিয়ে সেই উদ্বেগের কথা বলেছেন মোদী সরকারের দূত।
যদিও কাশ্মীরে কোনও নজর নেই তালিবানের। কাবুল দখলের পর অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়েছে তারা। তারপরেও উদ্বেগ কমছে না নয়াদিল্লির। এমনটাই বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন