Advertisment

ভারত সফরে জেসিবির কারখানায় যাওয়ায় ব্রিটেনে সমালোচিত জনসন

দিল্লিতে সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে উত্তর-পশ্চিম দিল্লির বেশ কিছু বিতর্কিত সম্পত্তি ধ্বংসের জন্য বুলডোজার ব্যবহার করেছিল প্রশাসন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
bORRIS_jOHNSON

গত সপ্তাহেই ভারত সফরে এসেছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তার মধ্যে একটা দিন তিনি নানা কর্মসূচির মধ্যে গুজরাতেই কাটিয়েছেন। সেখানে অন্যান্য কর্মসূচির সঙ্গে, ব্রিটিশ মালিকানাধীন একটি বুলডোজার কারখানাও বরিস জনসন পরিদর্শন করেন। এই কারখানার মধ্যে নানা কায়দায় বরিসকে ছবি তুলতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু, তাঁর এই কারখানা সফর মোটেও সুখের হল না। ব্রিটেনের বিরোধী দলগুলো বরিস জনসনের কারখানা পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। তা-ও আবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টের মধ্যেই।

Advertisment

দিল্লিতে সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে উত্তর-পশ্চিম দিল্লির বেশ কিছু বিতর্কিত সম্পত্তি ধ্বংসের জন্য বুলডোজার ব্যবহার করেছিল প্রশাসন। দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে ব্যবহৃত ওই বুলডোজার ছিল গুজরাতের ব্রিটিশ কোম্পানির তৈরি। বিভিন্ন ছবিতেই তা স্পষ্ট ধরা পড়েছে। এই খবর শুধু ভারতে না, বিদেশের মাটিতেও সমানভাবে গুরুত্ব পেয়েছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের কাছেও নাকি সেই তথ্য ছিল। কিন্তু, তারপরও হ্যালোলের জেসিবি কারখানায় গিয়েছিলেন জনসন। আর, সবকিছু জেনেই। এমনই অভিযোগ করেছেন ব্রিটেনের পার্লামেন্টে ভারতীয় বংশোদ্ভূত জনপ্রতিনিধি নাদিয়া হুইটোম-সহ বেশ কয়েকজন লেবার পার্টির সাংসদ।

আরও পড়ুন- শান্তি অস্তাচলে, দক্ষিণ-পূর্ব ইউক্রেনকে নিশানা করল মস্কো

বরিসের এই কারখানা পরিদর্শন নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোড়ন পড়ে যায়। বিষয়টি এখনও আদালতে বিচারাধীন। তার পরও কীভাবে জনসন সেই কারখানায় গেলেন, সেই প্রশ্নই তুলছেন নাদিয়া ও অন্যান্যরা। মঙ্গলবার স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) জনপ্রতিনিধি ইয়ান ব্ল্যাকফোর্ড, হাউস অফ কমন্সে জনসনের ভারত সফর-এর বিষয়টিকে একটি 'জরুরি প্রশ্ন' হিসেবে উত্থাপন করেন। তার উত্তর দেওয়ার জন্য শাসক দল এক জুনিয়র মন্ত্রীকে দায়িত্ব দেয়। উত্তর দেওয়ার জন্য জনসন নিজে না-থাকায় ক্ষুব্ধ বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধিরা প্রশ্ন তোলা শুরু করেন, 'তিনি কোথায়?' গুজরাতে এসে জেসিবির কারখানা পরিদর্শন যে ঠিক হয়নি, তা জনসন নিজেও বুঝেছেন। এমনটাই দাবি করছেন ব্রিটেনের শাসক দলের এক নেতা। তাঁর পালটা প্রশ্ন, এখন আর করার কী রয়েছে? যা হওয়ার, তা তো হয়ে গিয়েছে।

Read story in English

PM Boris Johnson criticises UK Parliament
Advertisment