মায়ানমারের ওপর নেওয়া রাষ্ট্রসংঘের বিবৃতিতে সই করতে বিরত থাকল দিল্লি। তারা জানিয়েছে পড়শি দেশ হিসেবে মায়ানমার ভারতের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। দিল্লির কিছু বক্তব্য সেই বিবৃতিতে উল্লেখ নেই। তাই আন্তর্জাতিক মঞ্চের উচিত আরও আলোচনা ও গঠনমূলক পথে সিদ্ধান্ত নেওয়া।
রাষ্ট্রসংঘের গৃহীত বিবৃতিতে অবিলম্বে মায়ানমারে গণতন্ত্রের পক্ষে সওয়াল করা হয়েছে। সেই বিবৃতিতে উল্লেখ, ‘মায়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর উচিত মানুষের ইচ্ছাকে সম্মান করা। ২০২০-র ৮ নভেম্বরে হওয়া সাধারণ নির্বাচনের ফল মেনে জরুরি অবস্থার অবসান ঘটানো। সামরিক তন্ত্র থেকে গণতন্ত্রের শান্তিপূর্ণ হস্তান্তর এবং গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সংসদকে চলতে দেওয়া। পাশাপাশি প্রজাতন্ত্রকে প্রাধান্য দিয়ে সব জাতীয় প্রতিষ্ঠান এমনকি সামরিক বাহিনীকে কাজ করতে দেওয়া।‘
এই বিবৃতিতে সই করেছে বিশ্বের ১১৯টি দেশ। একমাত্র বেলারুশ বিবৃতির বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। ভারত, রাশিয়া-সহ চিন সইদানে বিরত থেকেছে। ফেব্রুয়ারি মাসে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে অন্তত ৪ থেকে ৬ হাজার মায়ানমারের শরণার্থী ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। এমনটাই জানাল রাষ্ট্রসংঘ। রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র জানিয়েছেন, যেভাবে মায়ানমারে সেনার নির্যাতন বেড়েছে তাতে বহু মানুষ দেশে ছেড়ে শরণার্থী হয়েছেন প্রতিবেশী দেশগুলিতে। রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থী বিষয়ক দফতর জানিয়েছে, মে মাসের প্রথম সপ্তাহের পরিসংখ্যান অনুযায়ী কমপক্ষে ৬০ হাজারের বেশি মহিলা-শিশু এবং পুরুষ নির্বিশেষে ঘরছাড়া।
মার্চ-এপ্রিলে ১৭০০-র বেশি শরণার্থী প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকে ফিরেও এসেছেন। ৪ থেকে ৬ হাজার মানুষ ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন বলে মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টেফান দুইয়ারিক জানিয়েছেন। বুধবার একটি প্রেস বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন। ভারতের সঙ্গে মায়ানমারের ১৬০০ কিমির বেশি দীর্ঘ কাঁটাতারহীন-জনমানবশূন্য সীমান্ত এলাকা রয়েছে। তার পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরও রয়েছে। চারটি উত্তর-পূর্বের রাজ্য অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, মণিপুর এবং মিজোরামের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে মায়ানমারের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন