মায়ানমারে লাগাতার হিংসার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে নিহতদের পরিজনদের প্রতি সমবেদনা জানাল ভারত। ভারতের তরফে মায়ানমারের বন্দি নেতাদের মুক্তির আবেদন জানানো হয়েছে। গত ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচিত ক্ষমতাসীন সরকারকে ফেলে দিয়ে সামরিক শাসন জারি করে মায়ানমারের সেনা। স্টেট কাউন্সিলর আং সান সু কি, প্রেসিডেন্ট ইউ মিন মিন্ট-সহ একাধিক নেতা-নেত্রীকে বন্দি করেছে সেনা। সামরিক শাসনের প্রতিবাদে আন্দোলনকারীদের নির্বিচারে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সেনার বিরুদ্ধে।
এদিকে, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ মায়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছে। সেখানে মায়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নিরাপত্তা পরিষদ। রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টি এস তিরুমূর্তি টুইট করে বৈঠকের কথা জানিয়েছেন। তিনি সেই বৈঠকে ভারতের তরফে গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন, নিহতদের পরিজনদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছেন। মায়ানমারে অবিলম্বে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার সঙ্গে সঙ্গে বন্দি নেতাদের মুক্তির জন্য এশিয়ার প্রতিনিধিদের আবেদন জানিয়েছেন তিরুমূর্তি।
তিনি আরও জানিয়েছেন, শান্তিপূর্ণভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। আরও বেশি করে প্রত্যেক দেশকে এই বিষয়ে এগিয়ে আসতে হবে। রাখাইন প্রদেশে উন্নয়নমূলক কর্মসূচিকে অব্যাহত রাখতে মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে হবে। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস মায়ানমারে গণহত্যার তুমুল নিন্দা করেছেন। বিশেষ করে নির্বিচারে বৃদ্ধ, যুব ও শিশুদের মারার ঘটনায় মায়ানমারের সেনাকে ভর্ৎসনা করেছেন তিনি।
মহাসচিবের বিশেষ দূত ক্রিস্টিন শ্র্যানার জানিয়েছেন, মায়ানমার রক্তস্নাত বেশ কয়েকদিন ধরে। সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে এখনও পর্যন্ত ৫২০ জনের হত্যা হয়েছে মায়ানমারে। এই সন্ত্রাস না থামলে ভয়াবহ পরিস্থিতি হবে বলে আশঙ্কা রাষ্ট্রসংঘের।