২৩ দিন ধরে যুদ্ধ চলছে। রুশ হানায় বিধ্বস্ত ইউক্রেন। অনেকেই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন, আর যাঁরা রয়েছেন তাঁরা হয় মরছেন আক্রমণকারীদের গোলা-বারুদে, নয়তো প্রাণহাতে মৃত্যুর অপেক্ষা করে চলেছেন। মানবতরা চুড়মার অবস্থা। যা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী রাষ্ট্রদূত টি এস তিরুমূর্তি। তাঁর কথায়, 'ক্ষতিগ্রস্তদের মানবিক চাহিদাপূরণে অবিলম্বে উদ্যোগ্রহণ প্রয়োজন।'
টি এস তিরুমূর্তি বলেছেন, 'ভারত বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন, গত ২৩ দিন ধরে যুদ্ধ চলছে, তাতে ক্ষিগ্রস্তদের মানবিক পরিস্থিতির ক্রমান্বয়ে অবনতি হচ্ছে। সংঘর্ষের ফলে সাধারণ নিরাপরাধ মানুদের মৃত্যু হয়েছে। ইউক্রেনে হাজার হাজার লোক বাস্তুচ্যুত এবং প্রতিবেশী দেশগুলিতে ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ শরণার্থী হয়ে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। মানবিক পরিস্থিতির ভয়ঙ্কর অবনতি হয়েছে, বিশেষ করে সংঘাত কবলিত অঞ্চলে।'
মানবিক কার্যকলাপ মানবিকতা, নিরপেক্ষতা এবং স্বাধীনতার নীতি দ্বারা পরিচালিত হওয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রদূত।
এর মধ্যেই রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী রাষ্ট্রদূত টি এস তিরুমূর্তি বলেছেন, 'ইউক্রেন থেকে প্রায় সাড়ে ২২ হাজার নাগরিককে ফেরাতে পেরেছে ভারত। সহায়তার করা হয়েছে ১৮টি দেশের নাগরিকদের ফিরতে। এই কাজে সহায়তার জন্য ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশগুলির প্রতি কৃতজ্ঞতা।'
তিরুমূর্তি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অবিলম্বে সংঘর্ষবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন এবং আলোচনা ও কূটনীতির পথ ছাড়া এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার আর কোনো বিকল্প নেই।' তাঁর কথায়, 'নিরাপত্তা পরিষদের লক্ষ্যপূরণে আমরা প্রস্তুত। রাষ্ট্রসসংঘের সনদ, আন্তর্জাতিক আইন এবং রাষ্ট্রগুলোর সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করার প্রয়োজনীয়তার ওপর দিল্লি বিশেষ অগ্রাধীকার প্রয়োগের পক্ষে।'
ইউক্রেনের মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে বৈঠকের অনুরোধ করেছিল আমেরিকা, আলবেনিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স, আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে।
তিরুমূর্তি নিরাপত্তা পরিষদে জানিয়েছেন যে, ইউক্রেনের ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে, দিল্লি সেদেশে ইতিমধ্যেই ৯০ টন সহায়তা পাঠিয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই ওষুধ ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য। প্রয়োজনে ভারত আরও সহায়তা করবে বলেও আশ্বস্ত করেছেন।
ইউক্রেন মানবিক পরিস্থিতি ফেরাতে আন্তর্জাতিক মহলও উদ্যোগী হবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন।
Read in English