বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এক বৈঠকের পর বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, “ইদের পরপরই ভারত বাংলাদেশের মধ্যে আন্তঃসীমান্ত বাস ও রেল পরিষেবা পুনরায় চালু হওয়ার ব্যাপারে দুই দেশের মধ্যে ইতিমধ্যেই আলোচনা হয়েছে"।
ঢাকায় এক প্রেস বিবৃতিতে বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, ‘ইদের ছুটির পরপরই ভারত ও বাংলাদেশের সব রুটে পুনরায় বাস ও রেল যোগাযোগ চালু হতে চলেছে’। তিনি বলেন, ‘দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধি বিশেষ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ’। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে এক বৈঠকের পর এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
এ দিন দুপুরে একদিনের ঢাকা সফরে এসে পৌঁছান জয়শঙ্কর। তাকে আমন্ত্রণ জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর দুই দেশের বিদেশ মন্ত্রী ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে এক বৈঠকে বসেন। বৈঠকের পরই সিদ্ধান্ত হয় ইদের ছুটির পরই ভারত বাংলাদেশের মধ্যে ফের ট্রেন এবং বাস পরিষেবা শুরু করা হবে।
এদিনের এই বৈঠক নিয়ে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘দুই দেশের ঐতিহাসিক সম্পর্ককে আরও উচ্চতর অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার লক্ষে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে ’। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যদি ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি পায় তাহলে আসাম এবং ত্রিপুরার মতো রাজ্যগুলি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ব্যবহার করতে পারবে এর ফলে উপকৃত হবে এই দুই রাজ্য’। সেই সঙ্গে যোগাযোগ ব্যাবস্থা বৃদ্ধি পেলে দু দেশের মধ্যে ব্যবসা বানিজ্যের পথও আরও মসৃণ হবে বলেও তিনি জানান।
পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আন্তঃসীমান্ত রুটগুলি পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে যা ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় থেকে বন্ধ’। করিম বলেন, ‘ভারতের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী হাসিনার আধ ঘণ্টারও বেশি সময় বৈঠকে বেশ কিছু দ্বিপাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে’। পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তরফে ভারত সফরের আমন্ত্রণও জানান জয়শঙ্কর।