ইউক্রেন থেকে হাজার হাজার ভারতীয়কে উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি পড়শি দেশগুলির পড়ুয়াদেরও অপারেশন গঙ্গায় উদ্ধার করা হয়েছে ভারতের তরফে। বাদ পড়েনি পাকিস্তানের পড়ুয়ারাও। এই আবহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশে এক আবেগঘন বার্তা পাঠালেন এক পাকিস্তানি ছাত্রী। ভিডিও বার্তায় পাকিস্তানি পড়ুয়াকে বলতে শোনা গিয়েছে যে তিনি কিয়েভে ভারতীয় দূতাবাস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে চান।
জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া পাকিস্তানি পড়ুয়ার নাম আসমা শফিক। শীঘ্রই তাঁকে তাঁর পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। আপাতত তিনি পশ্চিম ইউক্রেনে আছেন। ভারতীয় কর্তারা তাঁকে উদ্ধার করার পর এক ভিডিও বার্তায় আসমাকে দূতাবাস কর্মী এবং ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, ‘আমি কিয়েভের ভারতীয় দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। তারা যেভাবে এখানে আমাদের সবদিক দিয়ে সাহায্য করেছে তার জন্যই আমরা এখান থেকে বের হতে পারছি। খুব কঠিন পরিস্থিতিতে আটকে ছিলাম আমরা। এবং আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রীকেও ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাদের সাহায্য করার জন্য। আশা করি ভারতীয় দূতাবাসের জন্য আমরা নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারব।’
উল্লেখ্য, এর আগেও বিদেশি নাগরিকদের ভারত উদ্ধার করেছে ইউক্রেন থেকে। ভারত একজন বাংলাদেশী, নেপালি নাগরিকদের ভারতীয় ফ্লাইটে করে নিয়ে আসে বলে জানা যায়। তাছাড়া ১৮ হাজার ভারতীয় পড়ুয়াকে এখনও পর্যন্ত দেশে ফিরিয়ে এনেছে ভারত। এখনও অবশ্য কয়েক হাজার ভারতীয়কে ফেরানোর কাজ বাকি রয়েছে। সেই কাজও দ্রুত সম্পন্ন হবে বলে আশা করছে ভারত।
এদিকে ইউক্রেকে হামলা জারী রেখেছে রাশিয়া পূর্ব ইউক্রেনের সেভেরোদোনেস্কৎ শহরে রুশ সেনার আক্রমণে নিহত হয়েছেন ১০ জন ইউক্রেনীয়। সংবাদ সংস্থা এএফপি স্থানীয় সূত্রে এই খবর পেয়েছে। গত প্রায় দু’সপ্তাহের লড়াইয়ে ধ্বস্ত ইউক্রেন। বিভিন্ন শহর ছেড়ে প্রাণ হাতে পালাচ্ছেন মানুষ। ইউক্রেনের উপপ্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেশচুক জানিয়েছেন যে, অবরুদ্ধ দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর শহর মারিউপোল সহ বুধবার ছয়টি ‘মানবিক করিডোর’ দিয়ে সাধারণ নাগরিকদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা জারি রয়েছে। সেই সঙ্গে রুশ হামলার বীভত্সতা থেকে রেহাই পেল না হাসপাতাল। রেহাই পেল না দুধের শিশুরাও।
আরো পড়ুন: রুশ বিমান হামলা, ধ্বংসস্তূপে বদলে গেল ইউক্রেনের শিশু হাসপাতাল
ইউক্রেনের মারিউপোলে রাশিয়ার বিমানহানায় ধ্বংসস্তূপে বদলে গেল আস্ত একটা হাসপাতাল। যেখানে প্রসূতি এবং শিশুরা ভর্তি ছিলেন। আর, সেখানে বহু শিশুর চিকিৎসাও চলছিল। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে ঠিক কতজনের মৃত্যু হয়েছে, বলতে পারছে না ইউক্রেন প্রশাসন। রাস্ট্র সংঘের তরফে দাবি করা হয়েছে ইতিমধ্যেই প্রায় ১৭ লক্ষ মানুষ ইউক্রেন ছেড়েছেন এই সংখ্যা প্রায় ৪০ লক্ষের কাছাকাছি যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এরই সঙ্গে ইউক্রেনের তরফে দাবি করা হয়েছে রুশ হামলা থেকে বাদ যায়নি দুধের শিশুরাও এদিনের ঘটনা সেই দাবিকে আরও জোরদার করল।