রাশিয়ার সঙ্গে মেলামেশা একেবারেই নাপসন্দ আমেরিকার। ভারতকে কড়া বার্তা দিল ওয়াশিংটন ডিসি। ইউক্রেনে হামলা নিয়ে যেভাবে রাশিয়া ইস্যুতে মৌন থেকেছে ভারত তা নিয়ে প্রথম থেকেই অসন্তুষ্ট আমেরিকা। মার্কিন আধিকারিকরা নয়াদিল্লির প্রতিক্রিয়ায় ক্ষুব্ধই বলা চলে। এই অবস্থায় রাশিয়ার সঙ্গে বেশি মাখামাখি করলে ফল ভাল হবে না বলে সতর্ক করল আমেরিকা।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের অধিকর্তা ব্রায়ান ডিজ বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, "বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমরা চিন এবং ভারতের সিদ্ধআন্তে হতাশ হয়েছি। বিশেষ করে আগ্রাসনের ইস্যুতে।" মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে, মস্কোর সঙ্গে কূটনৈতিক স্তরে বন্ধুত্ব উল্লেখযোগ্য এবং দীর্ঘমেয়াদী ফল হতে পারে।
যেহেতু আমেরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপান আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে রাশিয়ার উপর, তা তো ভারত করেইনি, উল্টে রাশিয়ার থেকে তেল আমদানি করতে চাইছে। তাতেই চটেছে ওয়াশিংটন। আগ্রাসন নিয়ে নয়াদিল্লির প্রতিক্রিয়া ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্ক জটিল করছে। কিন্তু যেখানে এশিয়ায় চিনকে জব্দ করতে ভারতই আমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী।
আরও পড়ুন চিনের নিশানায় লাদাখের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা, চাঞ্চল্যকর গোয়েন্দা রিপোর্ট প্রকাশ্যে
ব্রায়ান ডিজের বক্তব্যের আগে মার্কিন উপ মুখ্য নিরাপত্তা উপদেষ্টা দলীপ সিং ভারতে আসেন গত সপ্তাহে। দিল্লিতে ভারতীয় আধিকারিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব জেন সাকি চলতি সপ্তাহে জানান, "ভারত সফরে গিয়ে দলীপ আমাদের অবস্থান ভারতীয় আধিকারিকদের স্পষ্ট করেছেন। আমরা মনে করি রাশিয়ার থেকে জ্বালানি এবং অন্যান্য পণ্য আমদানি বাড়ানোর জন্য ভারতের কোনও স্বার্থ আছে।"
এই প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর বুধবার ফের মস্কোর সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি সংসদে দাঁড়িয়ে বলেন, "রাশিয়া ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী। অন্য সব দেশের মতো আমরাও সব বিষয়ে নজর রাখছি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আমরা আমাদের জাতীয় স্বার্থের কথা ভেবে পদক্ষেপ করছি।"