রাশিয়া ফের হামলা তীব্র করেছে। তাই ইউক্রেনে আর দূতাবাস রাখতে ভরসা পাচ্ছে না ভারত। ইতিমধ্যে অনেক দেশই তাদের ইউক্রেনের দূতাবাসের ঝাঁপ ফেলে দিয়েছে। অবশ্যই অনির্দিষ্টকালের জন্য। ভারত ফেলছে না। তবে, ইউক্রেন থেকে আর ইউক্রেনের দূতাবাস চলবে না। সেটা চলে যাচ্ছে ইউক্রেনের পাশের দেশ পোল্যান্ডে।
রবিবারই নিরাপত্তা নিয়ে দিল্লিতে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৈঠকে ছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। এছাড়াও ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গউবা, প্রধানমন্ত্রীর দফতরের মুখ্যসচিব পিকে মিশ্র, প্রতিরক্ষা সচিব অজয় কুমার এবং বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন স্রিংলা।
ইতিমধ্যেই ইউক্রেনে 'অপারেশন গঙ্গা' শেষ হয়েছে। ভারতীয়দের দেশে ফেরানো হয়েছে। তার মধ্যে বেশিরভাগ আবার মেডিক্যাল পড়ুয়া। বেশিরভাগ কূটনীতিকদেরও সরানো হয়েছে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে। তাঁরা এখন পোল্যান্ড সীমান্ত থেকে একটু দূরে এলভিভে থাকছেন। তবে, কিয়েভের ভারতীয় দূতাবাস এতদিন সক্রিয় ছিল। সেখানে হাতেগোনা কয়েকজন কর্মী কাজ করছিলেন। যোগাযোগ রাখছিলেন ইউক্রেন সরকারের সঙ্গে। কিন্তু, রাশিয়া মুখে যাই বলুক ইউক্রেন দখল করতে বদ্ধপরিকর। সেখানে তাঁদের পুতুল সরকার বসানোর ব্যাপারে কার্যত সিদ্ধান্তই নিয়ে নিয়েছে ক্রেমলিনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দফতর।
আরও পড়ুন- অবিলম্বে রাহুলকে কংগ্রেসের শীর্ষে বসান, সনিয়ার কাছে আর্জি ওয়ার্কিং কমিটির নেতাদের
সেই কারণে কিয়েভের আকাশে শুধু যুদ্ধবিমান চক্কর কাটছে। ইউক্রেনের রাজধানীর এখান সেখানে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ছে। সঙ্গে, স্থলপথে ইউক্রেনে প্রবেশের চেষ্টা বাড়িয়েছে রুশ সেনা। তাদের ট্যাংক প্রতিমুহূর্তে কিয়েভের আরও কাছে এগিয়ে আসছে। পালটা লড়াই চালাচ্ছে ইউক্রেনের সেনা এবং মিলিশিয়া। এই পরিস্থিতিতে জ্বলন্ত কিয়েভে দূতাবাসের দরকার নেই বলেই মনে করছে ভারত। পরিস্থিতি শান্ত হলে ফের দূতাবাস চালু করা যাবে। তার আগে অস্থায়ী দূতাবাস পোল্যান্ড থেকে চালানোই শ্রেয় বলে মনে করছে নয়াদিল্লি।
কারণ, শুধু কিয়েভই না। রাশিয়ার সেনাবাহিনী এবার এলভিভকেও নিশানা বানিয়েছে। রবিবারই রাশিয়ার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়েছে এলভিভের সামরিক ঘাঁটিতে। হামলায় ইউক্রেনের কমপক্ষে ৩৫ জন সেনা নিহত হয়েছেন। এমনই দাবি করেছে কিয়েভ। যদিও সংখ্যাটা আরও বেশি বলেই মনে করছে বেসরকারি মহল। এই পরিস্থিতিতে এলভিভেও দূতাবাস রাখা বিপজ্জনক বলেই নয়াদিল্লি মনে করছে। আর, তাই দ্রুত দূতাবাস সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
Read story in English