পাকিস্তানের প্ররোচনার জবাব সামরিক অভিযানের মাধ্যমে দেবে মোদী সরকার। এমন সম্ভাবনা উল্লেখ করে মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্ট জমা পড়েছে ইউএস কংগ্রেসে। তবে পুরোদমে যুদ্ধের সম্ভাবনা উরিয়ে দিয়েছে সেই রিপোর্ট। তবে দুই পড়শি দেশের সম্পর্ক ক্রমশ তলানিতে গিয়ে ঠেকছে। এমন উদ্বেগের সুর শোনা গিয়েছে মার্কিন সেই গোয়েন্দা রিপোর্টে।
সেই রিপোর্টে বলা, ‘নরেন্দ্র মোদীর সরকার পাকিস্তানের প্ররোচনার জবাব সামরিক অভিযানের মাধ্যমেই দেবে। দ্বিপাক্ষিক উত্তেজনা দুই পরমাণু সমৃদ্ধ পড়শির সংঘাত আরও বাড়িয়েছে। কাশ্মীরে অশান্তি এবং জঙ্গি হানা এই দুই রাষ্ট্রের সামগ্রিক সংঘাত আরও সপ্তমে তুলবে।‘
এদিকে, এখনই ভারতের সঙ্গে কোনওপ্রকার বানিজ্যিক সম্পর্ক চালু করতে নারাজ পাকিস্তান। চলতি মাসেই দ্বিপাক্ষিকস্তরে বর্তমান পরিস্থিতি বিচার করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইমরান খান সরকার। সম্প্রতি পাক মন্ত্রিসভার বৈঠকে ভারত থেকে তুলো আর চিনি আমদানি নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। তারপরেই কেন্দ্রীয় বানিজ্য মন্ত্রীকে বিকল্প আমদানি সুত্র খুঁজে বের করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী খান। পাক সংবাদমাধ্যম দা ডন সুত্রে এমনটাই খবর।
এর আগে পাকিস্তানের অর্থনীতিক সমন্বয় কমিটি চাহিদা মেনে ভারত থেকে তুলো-চিনি আমদানির সুপারিশ পাঠিয়েছিল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার চূড়ান্ত সিলমোহরের অপেক্ষায় ছিল সেই সুপারিশ।সেতাই শুক্রবার খারিজ করেছে পাক মন্ত্রিসভা।
এদিকে, গত মাসে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক করার জন্য এগিয়ে আসলেন পাক সেনাপ্রধান জেনারেল কমর জাভেদ বাজওয়া। এর আগে দু’দেশের মধ্যে শান্তি স্থাপনের জন্য ভারতকে এগিয়ে আসার আর্জি জানিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেই সুরেই কথা বললেন পাক সেনা প্রধান। তিনি জানান অতীত ভুলে নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদকে এগিয়ে আসতে হবে। যাতে দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক ফিরিয়ে আনা যায়।
দুই দেশের উন্নতি এবং দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার অর্থনৈতিক সংহতির জন্যও যা খুব জরুরি হিসেবে বর্ণনা করেছেন তিনি। পাক সেনা প্রধান অনুরোধ জানান যে দুই দেশের মধ্যে শান্তি ফেরাতে এবং কাশ্মীর নিয়ে ‘অনুকূল পরিবেশ’ তৈরি করতে। পাকিস্তানের জাতীয় সুরক্ষা সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত ইসলামাবাদ সিকিউরিটি ডায়লগ-এ কাশ্মীরে “অনুকূল” পরিস্থিতি বলতে কী বোঝাতে চেয়েছিলেন তা উল্লেখ করেননি, তবে তা উল্লেখযোগ্য ছিল ভারতের প্রেক্ষিতে।