মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বিডেনের নির্বাচনী ইস্তেহারে প্রথম দিকে জায়গা পেয়েছিল করোনা সংক্রমণ প্রতিহত করা। সেই ইস্তেহারে আর প্রাধান্য পেয়েছিল ভঙ্গুর অর্থনীতিকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করানো। দেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রায় দুই মাস হোয়াইট হাউসে কাটানোর পর প্রতিশ্রুতি পূরণেই সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছেন বিডেন। এমনটাই আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণ। একদিকে যখন বিশ্বব্যাপী হু-হু করে বাড়ছে করোনার প্রকোপ, ফের লকডাউনে ফিরছে একাধিক রাষ্ট্র, তখন জনস্বাস্থ্য বিভাগের শীর্ষ কর্তার পদে এক ভারতীয় চিকিৎসককে নিয়োগ করল জো-বাইডেন প্রশাসন। আমেরিকা নিবাসী ভারতীয় বংশোদ্ভূত ওই চিকিৎসকের নাম বিবেক মূর্তি। এর আগে ওবামা প্রশাসনেও জনস্বাস্থ্য বিভাগের শীর্ষ আধিকারিক ছিলেন তিনি।
২০১৭ সালে ক্ষমতায় এসেই জনস্বাস্থ্য আধিকারিকের পদ থেকে বিবেককে বরখাস্ত করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার সেনেটরদের ভোটে পুরনো পদে ফের বহাল হলেন তিনি। মার্কিন প্রশাসনের সার্জন জেনারেল পদে বেছে নেওয়া হয় বিবেককে। মাত্র ১৪ ভোটের ব্যবধানে তিনি মনোনীত হন এ দিন। ১০০টি ভোটের মধ্যে ৫৭টি ভোট পড়ে বিবেকের। আর তাঁর নিকটবর্তী প্রতিদ্বন্দ্বী পান ৪৩ ভোট।
মনোনীত হওয়ার পর টুইটারে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিবেক লিখেছেন, ‘আপনাদের সার্জন জেনারেল হিসেবে সেবা করার আরও একটা সুযোগ দেওয়া হয়েছে আমাকে। সেনেটের কাছে আমি কৃতজ্ঞ’।
পরোক্ষে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবেক লেখেন, ‘গত ক’য়েক বছর অত্যন্ত সমস্যাসঙ্কুল সময় কাটিয়েছে এই দেশ। আশা করব, দ্রুত আমেরিকা সুস্বাস্থ্যের এক নতুন ছবি দেখবে। সন্তানদের জন্য উন্নততর ভবিষ্যতও তৈরি হবে আমেরিকায়।‘
এর আগে জনস্বাস্থ্য পরিষেবা বিভাগের ভাইস অ্যাডমিরাল ছিলেন বিবেক। শাসক ডেমোক্র্যাটদের সেনেটররা ছাড়াও তাঁর পক্ষে ভোট দিয়েছেন সাত জন রিপাবলিক সেনেটর।