Brics Summit: আফগানিস্তান সঙ্কটের সমাধান অভ্যন্তরীণ স্তরে আলোচনার মাধ্যমে করুক তালিবান এবং বিরোধী শিবির। বৃহস্পতিবার সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে পরোক্ষে এই বার্তা পাঠাল ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলো। হিংসা থেকে সরে এসে আলোচনায় হোক সমাধান। এভাবেই কাবুলে বার্তা পাঠিয়েছে ব্রাজিল, রাশিয়া, ইন্ডিয়া, চিন এবং সাউথ আফ্রিকা। বুধবার থেকে শুরু হয়েছে ১৩তম ব্রিকস সম্মেলন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চলতি এই সম্মেলনের সুত্রধর। সেই সুত্র ধরেই বুধবার তালিবানি সন্ত্রাস নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আফগানিস্তানের সন্ত্রাস যাতে আঞ্চলিক স্তরে প্রভাব না ফেলে। নিশ্চিত করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট পুতিন।
তারপরেই ৫ রাষ্ট্রের এই গোষ্ঠী প্রথমবার আফগান পরিস্থিতি নিয়ে বিবৃতি দিল। এযাবৎকাল নয়াদিল্লিও আফগান প্রশ্নে ধীরে চলো নীতি নিয়েছিল। কিন্তু ব্রিকসের বিবৃতিতে ভারতের অবস্থানও স্পষ্ট করা হল। কারণ আফগানিস্তানে গণতান্ত্রিক সরকার পতনের পর থেকেই ভারতের জাতীয় সুরক্ষা প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়েছিল। এদিন ব্রিকস মঞ্চ থেকেই সেই উদ্বেগের বহিঃপ্রকাশ পাওয়া গেল। এমনটাই বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর।
এদিন বিবৃতিতে ব্রিকস গোষ্ঠী বলেছে, ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা জোর দিতে চাই। আফগান মাটিকে যাতে কোনওভাবেই সন্ত্রাসবাদীদের মুক্তাঞ্চল করে গড়ে না তোলা হয়। কোনওভাবেই যাতে আফগান মাটি ব্যবহার করে অন্য রাষ্ট্রের উপর সন্ত্রাসী হামলা এবং মাদক পাচার না চলে।‘
সূত্রের খবর ভারতের তরফে এই বিবৃতি হাক্কানি নেটওয়ার্ক, লস্কর এবং জইশকে প্রছন্ন বার্তা। অপরদিকে চিনের তরফে ইস্ট তুর্কিস্তান ইসলামিক মুভমেন্টকে বার্তা। যারা জিংজিয়াং প্রদেশের শান্তি ও স্থিতি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করতে। সেই বিবৃতিতে আরও উল্লেখ, ‘অভ্যন্তরীণ গঠনমুলক আলোচনার মাধ্যমে দেশে স্থিতি, গণশান্তি এবং আইনশৃঙ্খলাকে নিয়ন্ত্রণ করুক প্রশাসন।
চলতি সপ্তাহেই আফগানিস্তানে অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষণা করেছে তালিবান। জনসংখ্যার তুলনায় সেই সরকারের গঠন ব্যস্তানুপাতিক। নেই কোনও মহিলা প্রতিনিধি, সেভাবে উপস্থিতি নেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। যদিও এই মন্ত্রিসভা গঠনের পিছনে পাক আইএসআইয়ের হাত দেখছে নয়াদিল্লি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন