১১ দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ইজরায়েল এবং হামাস- দুই পক্ষই যুদ্ধজয়ের দাবি করল। শুক্রবারই সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা করেছে ইজরায়েল ও হামাস। কিন্তু দুপক্ষই জয় নিয়ে দাবি করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনগুলি গাজায় ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে সতর্ক বার্তা দিয়েছে। বলেছে, এই ক্ষয়ক্ষতি সামলে ছন্দে ফিরতে অনেক বছর লাগবে গাজার।
প্যালেস্তাইন ও ইজরায়েল দুই পক্ষই নিজেদের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে হিসাব-নিকেশ শুরু করেছে। গাজার এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, আশপাশের পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, সুনামি সব ধ্বংস করে দিয়েছে। আবু আলি নামে ওই বাসিন্দার প্রশ্ন, দুনিয়া কী করে নিজেকে সভ্য বলে দাবি করে! ১৪ তলা এক বহুতলের ধ্বংসস্তূপের সামনে দাঁড়িয়ে একথা বলেন তিনি।
প্যালেস্তাইনি আধিকারিকদের দাবি. পুনর্নিমাণের খরচ কয়েকশো মিলিয়ন ডলার পার করে যাবে। অন্যদিকে, ইজরায়েলি অর্থনীতিবিদদের দাবি, এই সংঘর্ষের জেরে ইজরায়েলের করোনায় ধাক্কা অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানো বাধাপ্রাপ্ত হবে। এদিনও গাজায় ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও পাঁচটি দেহ উদ্ধার হয়েছে। এর জেরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ২৪৮। তার মধ্যে ৬৬টি শিশু রয়েছে। জখম হয়েছেন ১৯০০ জন।
ইজরায়েলি সেনার দাবি, এক সৈনিক-সহ ১২ জন মানুষ নিহত হয়েছেন। তার মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে। হামাসের ছোঁড়া রকেটে তেল আভিভ শহরে বহু মানুষ আতঙ্কে ট্রমায় চলে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গাজায় বসবাসকারী ২০ লক্ষ মানুষ এখন ফের পুরনো ছন্দে ফেরার বিষয়ে সন্দিহান। কারণ, ইজরায়েল এবং মিশরের নিষেধাজ্ঞার কারণে স্থল-জলপথে বহির্বিশ্বের ত্রাণ গাজায় ঢোকা নিয়ে সমস্যা রয়েছে।
ইজরায়েলি এয়ারস্ট্রাইকে বিদ্যুৎ-পানীয় জলহীন পরিস্থিতি গাজায়। স্বাভাবিক জীবনে কীভাবে ফেরা যাবে তা নিয়ে সন্দিহান গাজাবাসী। ইরানের সুপ্রিম লিডার আয়াতোল্লা আলি খামেনেই গোটা মুসলিম দুনিয়ার কাছে প্যালেস্তানীয়দের সেনা ও আর্থিক সাহায্য করে গাজা পুনর্নিমাণের আহ্বান জানিয়েছেন।