ইজরায়েল-হামাস হানাহানি বন্ধ হওয়ার নাম নেই। এই দ্বিতীয় সপ্তাহে পড়ল রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। মঙ্গলবারও গাজা সন্ত্রাসী ঘাঁটি টার্গেট করে এয়ার স্ট্রাইক করেছে ইজরায়েল। পাল্টা ইজরায়েলের দিকে একের পর এক ডজন খানেক রকেট ছুঁড়েছে হামাস। দুই পক্ষের এই লাগাতার সংঘর্ষে বিরক্ত এবং সন্ত্রস্ত প্যালেস্তানীয়রা। মঙ্গলবার হিংসা কবলিত এলাকার মানুষরা সাধারণ ধর্মঘট পালন করলেন।
ইজরায়েলি এয়ার স্ট্রাইকে ক্ষতির শেষ নেই গাজায়। বহুতল থেকে শুরু করে লাইব্রেরি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্কুল-কলেজ এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। বেঞ্চ, চেয়ার, বইপত্র এবং কম্পিউটার এখন ধুলোয় মিশে গেছে। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে স্থানীয় বাসিন্দারা নিজেদের জিনিসপত্র খুঁজছেন। এই অবস্থায় আরও একটি বহুতলে হামাসের ঘাঁটি সন্দেহে গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেয় ইজরায়েল। তার আগে বাসিন্দাদের ভোরের আলো ফোটার আগেই পালিয়ে যেতে বলে ইজরায়েলি সেনা।
স্থানীয় প্যালেস্তানীয় জামাল হারজাল্লাহ আতঙ্কে বলেছেন, "গোটা রাস্তায় লোকজন ছুটতে শুরু করেন। এরপর গুঁড়িয়ে যায় সেই বিল্ডিং, ভূমিকম্পের মতো অনুভব হল। গোটা এলাকা কাঁপছিল।" প্রসঙ্গত, গত ১০ মে থেকে হামাস-ইজরায়েলি সেনার মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, ২১২ জন প্যালেস্তানীয় এখনও এয়ার স্ট্রাইকে মারা গিয়েছেন। তার মধ্যে ৬১ শিশু ও ৩৬ জন মহিলা রয়েছেন। ১৪০০-র বেশি মানুষ ঘায়েল হয়েছেন।
ইজরায়েলে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। একজন সৈনিক ও পাঁচ বছরের শিশুও রয়েছে নিহতদের মধ্যে। গাজা থেকে লাগাতার রকেট হানায় ইজরায়েলিদের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার লাগাতার হামলার প্রতিবাদে ইজরায়েলি ভূখণ্ড, জেরুসালেম এবং অধিকৃত ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক এলাকার প্যালেস্তানীয়রা সাধারণ ধর্মঘট পালন করেন। তাঁদের অভিযোগ, ইজরায়েলিরা ইহুদি ছাড়া আর কাউকে জীবিত ছাড়বে না। ধর্মীয় নিপীড়ণের শিকার হচ্ছেন তাঁরা। পাল্টা প্য়ালেস্তানীয় সমাজকর্মীদের উদ্দেশে ইজরায়েলের বার্তা, ধর্মীয় কারণ নয়, নাগরিকদের সমানাধিকার রয়েছে। বরং যুদ্ধের জন্য হামাসকে দায়ী করেছে তারা।