ভুল স্বীকার আমেরিকার। কাবুলে ড্রোন হামলায় নিরীহ আফগান নাগরিকদের মৃত্যুর দায় নিল আমেরিকা। গত ২৯ অগাস্ট আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে মার্কিন সেনার ড্রোন হামলায় জঙ্গিরা নয়, ১০ নিরীহ আফগান নাগরিকের মৃত্যু হয়েছিল। নিহতদের মধ্যে ৭ জন শিশু ছিল। প্রায় তিন সপ্তাহ পর অবশেষে সেই ঘটনার দায় স্বীকার করে নিল আমেরিকা। ওই হামলা নিয়ে তদন্ত করছিল মার্কিন সেনাবাহিনী। অবশেষে সেই তদন্তের রিপোর্ট সামনে এসেছে। দেখা গিয়েছে, জঙ্গি ডেরায় আঘাত হানতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি হয়েছে। ড্রোন হামলায় নিরীহ আফগানদেরই মৃত্যু হয়েছে।
গত ২৯ অগাস্ট কাবুলে ড্রোন হামলা চালায় আমেরিকা। আফগানিস্তান থেকে নাগরিকদের সরাতে সেই সময়ে মরিয়া ছিল মার্কিন সেনা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় অগাস্ট মাসের শেষের কয়েকটি দিন বিদ্যুৎ গতিতে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছিল মার্কিন সেনাবাহিনী। উদ্ধারকাজ চালানোর সময়েই আচমকা কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের গেটের কাছে পরপর বেশ কয়েকটি আত্মঘাতী বিস্ফোরণ হয়।
কাবুল বিমানবন্দর চত্বরে সেদিন পরপর বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ হয়েছিল। ওই বিস্ফোরণে মোট ১৩০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছিল। বিস্ফোরণে নিহত হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন মার্কিন সেনাও। আইসএস-এর খেরাসান শাখাই বিস্ফোরণে যুক্ত ছিল। জঙ্গিদের কড়া জবাব দিতে ২৯ অগাস্ট কাবুলে ড্রোন হামলা চালায় আমেরিকা। সেই এয়ারস্ট্রাইকে নিরীহ ১০ আফগান নাগরিকের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে ছিল ৭ শিশুও।
আরও পড়ুন- ‘এখানে ডাকলে ঘেরাও করবে, ঢিল মারবে’, ED তলবে অভিষেককে বিঁধলেন দিলীপ
শুক্রবার পেন্টাগনের তরফে জানানো হয়েছে, প্রথমে কাবুলে ড্রোন হামলায় আইএস-এর খোরাসান গোষ্ঠীর জঙ্গিরা খতম হয়েছে বলে মনে করা হয়েছিল। তবে ওই হামলা নিয়ে দফায় দফায় পর্যালোচনা ও সব তথ্য জোগাড় করা হয়েছে। এয়ারস্ট্রাইকে জঙ্গিদের বদলে নিরীহ ১০ আফগানের মৃত্যু হয়েছে। এটি অত্যন্ত দুঃখনজনক একটি ঘটনা। মার্কিন সেনাকর্তা আরও জানিয়েছেন, জঙ্গিদের পাল্টা জবাব দিতেই ওই ড্রোন হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। একইসঙ্গে কাবুলে থাকা মার্কিন সেনাবাহিনীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যেও এয়ারস্ট্রাইক করেছিল আমেরিকা।
Read full story in English
ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেসবাংলাএখন টেলিগ্রামে, পড়তেথাকুন