পাঁচ দিনের সফরে শ্রীলঙ্কা এবং মালদ্বীপে গেলেন বিদেশমন্ত্রী সুব্রমনিয়ম জয়শংকর। শনিবার তিনি রওনা দিয়েছেন। ফিরবেন বুধবার। তাঁর প্রথম সফর মালদ্বীপে। দু'দিন মালদ্বীপেই থাকবেন। ঘুরে দেখবেন আদ্দু শহর। সফরকালে বৈঠক করতে পারেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মহম্মদ সোলিহের সঙ্গে। পাশাপাশি, তাঁর বৈঠকের কথা রয়েছে মালদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী আবদুল্লা শাহিদের সঙ্গেও। শনিবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এমনই জানানো হয়েছে।
বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, ভারত এবং মালদ্বীপ দীর্ঘদিন ধরেই পরস্পরের সহযোগী। মালদ্বীপে ভারতের সাহায্যে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজকর্ম চলছে। তা যাতে ব্যাহত না-হয়। পাশাপাশি, আরও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক বিষয়েও এই সফরে জয়শংকরের কাজে আবেদন রাখতে পারেন মালদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী। শুধু আর্থিক ক্ষেত্রই নয়, অন্যান্য ক্ষেত্রও, বিশেষ করে মালদ্বীপের নিরাপত্তার বিষয়টিও ভারত বরাবরই গুরুতর দিয়ে দেখে। সেনিয়েও আলোচনা হতে পারে দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীর মধ্যে।
মালদ্বীপ থেকে শ্রীলঙ্কায় যাবেন বিদেশমন্ত্রী। সফরের শেষ তিন দিন তিনি সেখানেই থাকবেন। গত ডিসেম্বরে ভারতে এসেছিলেন শ্রীলঙ্কার অর্থমন্ত্রী বাসিল রাজাপক্ষ। আবার ফেব্রুয়ারিতেই ভারতে এসেছিলেন শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী জিএল পেইরিস। সেই সময়ও দ্বীপরাষ্ট্রে ভারতের সহায়তা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। শ্রীলঙ্কা দীর্ঘদিন ধরেই জ্বালানির সংকটে ভুগছে। সেসব নিয়েও এবারের বৈঠকে দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনা হতে পারে।
তার মধ্যেই ২৯ মার্চ কলম্বোয় বসছে বিমসটেক গোষ্ঠীর সদস্যভুক্ত দেশগুলোর মন্ত্রীদের বৈঠক। সেখানও ভারতের বিদেশমন্ত্রীর অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কা এবং মালদ্বীপ বরাবরই ভারতের কাছে যথেষ্ট গুরুত্ব পেয়ে থাকে। ভারত মহাসাগরের জলসীমায় থাকা এই দুই দেশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্নের 'সাগর' প্রকল্পেরও অংশ। যে প্রকল্পে প্রতিবেশীকে আগে সহায়তা দেওয়ার নীতি পালনের শপথ নিয়েছে নয়াদিল্লি। সেকথা মাথায় রেখে এই দুই দ্বীপরাষ্ট্রের সঙ্গে সৌভ্রাতৃত্ব বজায় রাখার নীতি বহাল রাখতে চায় ভারত। ফলে, শ্রীলঙ্কার তেলসংকট মেটাতে ভারত কতটা সাহায্য করতে পারে, তারও একটা রূপরেখা জয়শঙ্করের শ্রীলঙ্কা সফর থেকেই মিলতে পারে।
Read story in English