করোনার দাপট অব্যাহত। তার মধ্যেই মিলেছে নয়া স্ট্রেন। এই পরিস্থিতিতে করোনা রুখতে রাজধানী টোকিও সহ সংলঙ্গ বেশ কয়েকটি অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করল জাপান। আগামি ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই জরুরি অবস্থা জারি থাকবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
দেশজুড়ে লকডাউনের দাবি তুলেছিলেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু, সবকিছু বন্ধ থাকলে তার খারপ পড়বে অর্থনীতিতে। তাই সম্পূর্ণ লকডাউনের বদলে টোকিও সহ সাইতামা, কানাগাওয়া ও ছিবা অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করেছে জাপান সরকার। এই অঞ্চলগুলোতে ওই দেশের প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষের বসবাস। প্রধানমন্ত্রী অবশ্য জানিয়েছেন, আংশিক জরুরি অবস্থায় অর্থনীতির ক্ষতি সামলাতে ৭০ হাজার কোটির ইয়েন প্যাকেজের ঘোষণা করা হবে।
করোনার প্রভাব দেশ থেকে সম্পূর্ণ দূর হয়ে যাক, এমনটাই টাইছে জাপানের ইয়োশিহিদের সুগারের সরকার। দিন কয়েক আগেই জাপানের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে আরও কয়েকদিন বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। লড়াইটা সহজ নয়।’ তারপরই এই জরুরি অবস্থা জারি হল। তবে, গত এপ্রিলের লকডাউনে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের উৎপাদন ও বিক্রয় ছাড়া স্কুল, কলেজ, পানশালা সহ অন্যান্য সবকিছু বন্ধ ছিল। এবার অবশ্য নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যে, রস্তোরাঁ সন্ধ্যা ৮টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বাড়ির বাইরে বেরতো পারবেন না।
এর মধ্যেই অবশ্য অতিমারীর প্রভাব কাটিয়ে যত দ্রুত সম্ভব অলিম্পিকসের প্রস্তুতি জোরকদমে শুরু করতে চায় জাপান। জরুরি অবস্থার জারির পর এমনটাই জানিয়েছে ইয়োশিহিদো সরকার।
তবে, সরকারের জরুরি অবস্থা ঘোষণার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন জাপান মেডিক্যাল অস্যোসিয়েশনের প্রধান তোশিয়ো নাকাগাওয়া তিনি বলেছেন, ‘আংশিক জরুরি অবস্থার বদলে দেশজুড়ে সম্পূর্ণ জরুরি অবস্থা লাগুর প্রয়োজন ছিল।’
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার জাপানে কোভিডআক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার মানুষ। রাজধানী টোকিওয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ২,৪৪৭ জন। মোট সংক্রমিতের সংখ্যা আড়াই লক্ষের বেশি।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
Get all the Latest Bengali News and West Bengal News at Indian Express Bangla. You can also catch all the World News in Bangla by following us on Twitter and Facebook
Web Title: