থাকছে না রাজকীয় অনুষ্ঠান। সাধারণ নাগরিকের মতোই আগামী মাসে বাগদত্তাকে বিয়ে করছেন জাপানের রাজকুমারী। রাজপরিবার ছেড়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রেম করার জন্য অনেক দিন আগেই রাজঘরানা ছাড়তে হয়েছে তাঁকে। এবার বিয়েও হবে সাদামাটা ভাবে। কিন্তু নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে রাজকুমারীর হবু শ্বশুরবাড়িকে নিয়ে।
জানা গিয়েছে, রাজকুমারী মাকোর শাশুড়ি আর্থিক দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার কারণে এই বিয়েকে জনতা মেনে নিচ্ছে না পুরোপুরি। শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছে রাজপ্রাসাদ। মাকোর বাগদত্তা কেই কোমুরোর মা এখন রাজপরিবারের জন্য অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। যে কারণে বিয়ে তিন বছর পিছোতে হয়েছে মাকো-কোমুরোকে।
২৯ বছরের কোমুরো গত সপ্তাহে নিউ ইয়র্ক থেকে জাপানে ফিরেছেন। সেখানে তিনি আইনের পড়াশোনা করছিলেন। পনিটেল চুল নিয়ে বিয়ের আসরে দেখা যাবে তাঁকে। কিন্তু রাজপরিবারের ঐতিহ্যের বিরোধী এমন হেয়ারস্টাইল। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই সমালোচনার ঝড় বইছে। আগামী ২৬ অক্টোহর এই যুগল তাঁদের বিয়ের নথিবদ্ধকরণ করবেন। তারপর একত্রে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করবেন। চলতি বছরেই পাকাপাকি ভাবে নিউ ইয়র্কে সংসার শুরু করবেন দুজনে।
কোনও ব্যাঙ্কোয়েটে বিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছে না। এমনকী কোনও রীতিও পালন হবে না। কারণ জাপানের জনতা তাঁদের মেনে নিচ্ছে না বলে জানিয়েছে রাজপ্রাসাদ। রাজপরিবার ছেড়ে দেওয়ার জন্য মাকোকে ১৫০ মিলিয়ন ইয়েন দেওয়ার কথা হলেও রাজকুমারী তা প্রত্য়াখ্যান করেছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তিনিই প্রথম মহিলা রাজপরিবারের সদস্য যিনি একজন সাধারণ ব্যক্তিকে বিয়ে করার জন্য কোনও টাকা পাবেন না।
আরও পড়ুন জাপানের নয়া প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন প্রাক্তন বিদেশ মন্ত্রী ফুমিও কিশিদা
আর তিনদিন পরেই ৩০ বছর হবে মাকোর। তিনি হলেন রাজা নারুহিতোর ভাইঝি। মাকো এবং কোমুরো সহপাঠী ছিলেন টোকিওর আন্তর্জাতিক ক্রিশ্চিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০১৭ সালে বিয়ের কথা ঘোষণা করেন দুজনে। কিন্তু তার তিন মাস পরেই কোমুরোর মায়ের আর্থিক দুর্নীতির কথা প্রকাশ্যে আসে। আর বিয়েও স্থগিত হয়ে যায়। জাপানের রাজপরিবারের রীতি অনুযায়ী, সিংহাসনে শুধু পুরুষদেরই অধিকার। রাজপরিবারের মহিলারা কোনও সাধারণ নাগরিককে বিয়ে করেন তাহলে প্রাসাদ ছাড়তে হয়। এই কারণে রাজপরিবারের সদস্য সংখ্যা অনেকটাই কমেছে এবং সিংহাসের দাবিদারও কম।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন