জাপানে ক্ষমতা বদল। উদীয়মান সূর্যের দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন প্রাক্তন বিদেশ মন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। কিশিদাকে ক্ষমতাসীন দল লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি তাদের নয়া পরিষদীয় নেতা নির্বাচিত করেছে। ফলে এক বছর পর প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে হচ্ছে ইয়োশিদে সুগাকে। গত সেপ্টেম্বরেই শিনজো আবের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন সুগা।
আগামী সোমবার নয়া প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন কিশিদা। করোনা অতিমারিতে ধাক্কা খাওয়া দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এবং ওয়াশিংটনের সঙ্গে মজবুত সম্পর্ক গড়ার লক্ষ্যে কিশিদার উপর আস্থা রেখেছে তাঁর দল। কারণ, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চিনের আগ্রাসন বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর গদিতে শক্তিশালী নেতাকে চাইছিল জাপানের ক্ষমতাসীন দল।
পার্টির অভ্যন্তরীণ ভোটে টিকাকরণ মন্ত্রী তারো কোনোকে পরাজিত করেন কিশিদা। কোনো যথেষ্ট জনপ্রিয় হলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল কিশিদার ঝুলিতে। দলের হেভিওয়েট নেতাদের সমর্থন পেয়েছেন কিশিদা। করোনা অতিমারি মোকাবিলায় সরকারের নীতি নিয়ে জনমানসে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছিল। চার মধ্যে টোকিও অলিম্পিক নিয়েও মানুষ সরকারের উপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। এসবই সামাল দিতে ব্যর্থ হন সুগা। দলের জনপ্রিয়তায় ভাঁটা পড়ার অন্যতম কারণ ছিলেন প্রধানমন্ত্রী সুগা।
তাই সুগাকে সরিয়ে নয়া নেতা বেছে নিয়েছে জাপানের শাসকদল। সংরক্ষণশীল মতাদর্শের এই দল ফের মানুষের জনসমর্থন পাওয়ার লক্ষ্যে নির্বাচনের দুমাস আগেই প্রধানমন্ত্রী পদে নতুন মুখ নিয়ে এল। কিশিদা নয়া পুঁজিবাদের মন্ত্রে বিশ্বাসী। তাঁর দাবি, জাপানের সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের আমলে বড় সংস্থাগুলিকে সাহায্য করেছে দেশের অর্থনীতি। তাই নতুন ভাবে দেশের অর্থনীতিকে সামলানোর দায়িত্ব বর্তেছে কিশিদার কাঁধে।
আরও পড়ুন কাটা যাবে না দাড়ি, শরিয়া স্মরণ করিয়ে ফতোয়া জারি তালিবানের
পাশাপাশি এশিয়ায় চিনের বাড়বাড়ন্তের কারণে আমেরিকার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করার লক্ষ্য নিয়েছে শাসকদল। চিনের প্রভাব বিস্তার এবং প্রতিবেশি দেশ উত্তর কোরিয়ার নিউক্লিয়ার পরীক্ষা-নিরীক্ষা চিন্তা বাড়াচ্ছে জাপানের। বুধবারের ভোট ছিল তাই আবের ছায়া থেকে বেরিয়ে আসার পরীক্ষা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন