নির্বাচনের আগে পর্যন্ত তিনি ছিলেন চিনের 'বন্ধু'। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে বসার পর এবার অন্য সুর শোনা গেল জো বাইডেনের গলায়? তিনি জানান যে চিনের সঙ্গে নতুন সম্পর্ক তৈরি তিনি করতে চান এবং সেখানে দ্বন্দ্বে স্থান নেই। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের থেকে 'চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা' যেন আশা করে চিন।
কূটনৈতিক মহলের মত, বাইডেনের এই মন্তব্য অনেকটাই 'ধরি মাছ না ছুঁই পানির' মত বিষয়। রবিবার জো বাইডেনের যে সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছে সেখানে তিনি বলেছেন, "প্রেসিডেন্ট পদে বসার পর এখনও তিনি চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলে উঠতে পারেননি। তবে এর আগে ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন বহুবার সাক্ষাৎ হয়েছে। আমি ওঁকে খুব ভালভাবে জানি।"
তিনি এও বলেন যে এরপর যখন তাঁরা নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসছে বহু বিষয় নিয়ে অনেকক্ষণ ধরে কথা হবে নিজেদের মধ্যে। বিডেন বলেছিলেন, তারা যখন কথা বলতে পারে, তখন তাদের কাছে "সম্পূর্ণ কথা বলতে হবে"। এখনও পর্যন্ত বাইডেন কানাডা, মেক্সিকো, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া এবং ন্যাটো সেক্রেটারি-জেনারেলের সঙ্গে কথা বলেছেন।
তিনি রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথোপকথনেও কাজ করেছিলেন। হোয়াইট হাউসে বাইডেন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্থানে আসার পর চিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের একজন মুখপাত্র বলেছেন যে "এই অত্যন্ত কঠিন এবং অসাধারণ সময়ের পরেও চিন এবং আমেরিকা উভয়েরই উন্নত ভবিষ্যতের আশা করছে।" বেজিং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে ফিরে আসায় বাইডেন প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।
তবে নতুন প্রশাসন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন যেমন অবাধ বাণিজ্য নীতি, তাইওয়ান, মানবাধিকার এবং দক্ষিণ চীন সাগর সম্পর্কিত নীতিগুলি চিন সরকারকে কিছুটা ক্ষুব্ধ করেছে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন