ইউক্রেনে হামলার প্রাক্-মুহূর্তে তিনি সরাসরি বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেছেন। ওয়ার রুমে বসে কখনও ন্যাটোর প্রতিনিধি ফ্রান্স, কখনও জার্মানির প্রধানকে পাঠিয়েছেন রাশিয়ায়। যাতে রাশিয়া অন্তত ইউক্রেনে হামলা চালাতে না-পারে। তাতেও কাজ না-হওয়ায় সরাসরি হুমকি দিয়েছেন, রাশিয়া হামলা চালালে, ইউক্রেনের পাশে থাকবে আমেরিকা। পাশে থাকবে ন্যাটোও। এমনকী, পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে সরাসরি ফোন করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে। কিন্তু, রাশিয়ার একগুঁয়েমিতে প্রতিবারই তিনি হতাশ হয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গলায় গত কয়েকদিনে তাই প্রায়ই শোনা গিয়েছে রুশ প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে সমালোচনার সুর। সেই সুর জটিল থেকে জটিলতর হয়ে ওঠা ইউক্রেন পরিস্থিতিতে আরও জোরালো হয়েছে। ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে রুজভেল্ট রুমে বসা মার্কিন প্রেসিডেন্টের এখন একটাই অভিযোগ, 'কূটনীতির বদলে রাশিয়া ভয়াবহ এবং অপ্রয়োজনীয় এক যুদ্ধকে বেছে নিল'। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এতবড় সংকটের মুখে পড়েনি ইউরোপ। তা যেন স্পষ্ট করে দিয়েছে বাইডেনের বলা কথাগুলো।
এর আগে তিনি বলেছিলেন, চলতি সপ্তাহের বুধবার ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে রাশিয়া। গোটা বিশ্বের নজর ছিল সেদিকে। বুধবার পেরিয়ে এখন সপ্তাহ, শেষলগ্নে পৌঁছেছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে হোয়াইট হাউস আশঙ্কা করছে, আগামী সপ্তাহে হামলা চালাতে পারে রাশিয়া। বাইডেনের কথায়, 'আমাদের ধারণা, ওঁরা ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভকে নিশানা করতে পারে। আক্রান্ত হতে পারেন, শহরের ২৮ লক্ষ নিরীহ মানুষ।'
আরও পড়ুন- গুলি-বারুদ আছড়ে পড়ার আগেই ভয়ে আধমরা বাসিন্দারা, স্তব্ধ জনজীবন
বাইডেন বিশ্বাস করেন না যে, পুতিন হামলা চালানোর ব্যাপারে দ্বিধায় আছেন। এই ব্যাপারে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্য, 'আমি নিশ্চিত যে তিনি মনস্থির করে নিয়েছেন।' কীসের ভিত্তিতে তিনি যুদ্ধের পূর্বাভাস দিচ্ছেন, তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, 'এক উল্লেখযোগ্য গোয়েন্দা রিপোর্ট'-এর ওপর নির্ভর করেই তিনি এতকিছু আগেভাগে বলছেন। কিন্তু, এতকিছুর পরও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চায়, যুদ্ধের পথ থেকে সরে আসুক রাশিয়া। বেছে নিক কূটনীতির পথ। বিশ্বের অন্যতম সুপার পাওয়ার মস্কোর কাছে এখন এটাই অনুরোধ অন্যতম সুপার পাওয়ার ওয়াশিংটনের। বাইডেন কথায়, 'এখনও সময় আছে। সব কিছু শেষ হয়ে যায়নি। আলোচনার রাস্তা খোলা আছে।'
Read story in English