আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হতেই ফের জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আফগান নীতি নিয়ে যে যাই নিন্দা করুক না কেন, বাইডেন নিজের সিদ্ধান্তে অনড়। মঙ্গলবার সমালোচনা উপেক্ষা করে তিনি বললেন, সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত একেবারে সঠিক ছিল। তাঁর দাবি, "এটাই একমাত্র উপায় ছিল দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম যুদ্ধে ইতি টানার। পাশাপাশি সেনার সাহায্যে অন্য দেশের পুনর্নিমাণের ব্যর্থ চেষ্টারও অবসান হয়েছে এতে।"
এদিন হোয়াইট হাউসে বাইডেন বলেছেন, ৯৮ শতাংশ আমেরিকানকে উদ্ধার করা হয়েছে যাঁরা আফগানিস্তান ছাড়তে চাইছিলেন। বাকি ২০০-৩০০ জন আমেরিকানকে নিরাপদে দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করতে প্রতিশ্রুতি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বাইডেন আফগান নীতি নিয়ে বলেন, "এই সিদ্ধান্তের দায় আমার। কেউ হয়তো বলবেন এটা আগেই করা উচিত ছিল। তাতে আমি একমত নই। তড়িঘড়ি সেনা প্রত্যাহার করলে সে দেশে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যেত।"
তিনি আরও বলেন, "আমার বিশ্বাস, এটা একেবারে নির্ভুল ও বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত। দেশবাসীকে কথা দিয়েছিলাম, যুদ্ধ শেষ করব। এই যুদ্ধ অনন্তকাল চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত ছিলাম না"। তবে সেনা প্রত্যাহার করলেও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমেরিকা লড়াই চালিয়ে যাবে বলে এদিন অঙ্গীকার করেন বাইডেন। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেখানে বাইডেনের আফগান নীতির তীব্র নিন্দা করেছেন সেখানে নিজের সিদ্ধান্তেই অনড় বাইডেন।
আরও পড়ুন কাবুল ছাড়ল শেষ মার্কিন বিমান, আফগানিস্তানে যুদ্ধের অবসান ঘোষণা পেন্টাগনের
এদিকে, মঙ্গলবার দোহায় কাতারে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত দীপক মিত্তল এবং তালিবান নেতা শের মহম্মদ আব্বাসের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। আফগানিস্তানের মাটিতে যাতে সন্ত্রাসবাদকে মদত না দেয় তালিবান। কাতারের বৈঠকে ভারতের তরফে এই আবেদন করা হয়েছে। তবে শুধু সন্ত্রাসবাদ নিয়ে নয়, আফগানিস্তানের আটকে থাকা ভারতীয়দের উদ্ধার নিয়েও এই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
৩১ অগস্ট শেষ হয়েছে কাবুল থেকে বিদেশিদের উদ্ধারের সময়সীমা। কিন্তু এখনও হামিদ কারজাই বিমানবন্দরে আটকে একাধিক ভারতীয়। এই পরিবেশে মার্কিন সেনা কাবুল ছাড়তেই বিমানবন্দরের দখল নিয়েছে তালিবানরা। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয়দের উদ্ধারে আরও একটু মানবিক হওয়ার আবেদন তালিবান নেতৃত্বকে করেছেন দীপক মিত্তল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন