সরকারিভাবে এখনও দায়িত্বগ্রহণ করেননি। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে মার্কিন মসনদ দখল করার পরই একাধিক প্রশ্ন উঠে আসছে জো বাইডেনের আগামী দিনের স্ট্র্যাটেজি নিয়ে। ভারত চিন সীমান্ত সমস্যার পর থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনা ও ভারতের পাশে থেকে একের পর এক আক্রমণ করেছেন চিনকে। সেই সম্পর্ককে কী মেরামত করবেন বাইডেন?
চিনের সঙ্গে জো বাইডেনের সম্পর্ক বাক ইতিহাস যদি দেখা যায় তাহলে দেখব শি জিনপিংয়ের দেশে বাইডেন হলেন জনপ্রিয় নাম। এমনকী নির্বাচনী প্রচারের সময় ডোনাল্ডের বিরুদ্ধে গিয়ে চিনের পাশে থাকারই বার্তা দিয়েছিলেন নয়া প্রেসিডেন্ট। তবে গত চার বছরে চিনের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক যে পথে এগিয়েছে সেই ফাটল মেরামত করার সম্ভাবনা কম এমনটাই মত পর্যবেক্ষক মহলের।
আরও পড়ুন, ভারত-মার্কিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে জো বাইডেন কতটা ‘ভাল বন্ধু’?
২০১১ সালে শি জিনপিং এবং জো বাইডেন দুজনেই ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে। সেই সময় বেজিং-ওয়াশিংটনের মধ্যে একাধিক বৈঠকও হয়। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সমগে সেই বন্ধুত্বতে কিন্তু বদল এসেছে। নির্বাচনী প্রচারে বেশ কয়েকবার শি জিনপিংয়ের দেশের প্রতি নিজের ক্ষোভ ব্যক্ত করেছেন ডেমোক্র্যাট নেতা। হংকংয়ে অবৈধ আধিপত্য কায়েম হোক কিংবা মুসলিম সংখ্যালঘুদের প্রতি নীতি, চিনা প্রেসিডেন্টকে ‘ঠগ’ বলতে পিছপা হননি বাইডেন।
চাইনিজ পণ্যের উপর শাস্তিমূলক শুল্ক আরোপ, হুয়াওয়ে টেকনোলজিস কোং থেকে বাইটড্যান্স লিমিটেডের (টিকটক) মতো সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, ট্রাম্পের এই নীতি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে অনেকটাই নড়িয়ে দিয়েছে। আর কৌশলগত অবস্থানে বাইডেন এই নীতিই বজায় রাখবেন এমন আঁচই টের পাওয়া যাচ্ছে। ওবামা এবং ট্রাম্প উভয় প্রশাসনের সময় এশিয়ায় মার্কিন কূটনীতিক হিসাবে দায়িত্ব পালনকারী জেমস গ্রিন বলেন, “নতুন প্রশাসনের পক্ষে বেজিংয়ের প্রতি একটি নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি নিতে হবে।”
আরও পড়ুন, জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হলেও ট্রাম্পের নীতিতেই চলতে হবে! কিন্তু কেন?
উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা, বাণিজ্য প্রেক্ষাপট, চিনা অ্যাপ বাতিল মানবাধিকার নীতি এবং কোভিড -১৯ অতিমারী নিয়ে সমালোচনার পরে চিন সম্পর্কে মার্কিন জনগণের মতামত বেড়েছে। আর সেই মতের বদল ঘটা অসম্ভব। বিশেষত করোনা হানায় দু লক্ষ ত্রিশ হাজার মানুষের মৃত্যু এখনও দগদগে মার্কিন মনে। এটা ঠিক মিত্রপক্ষের সঙ্গে সম্পর্ক হয়ত বাড়াতে চাইবেন বাইডেন। যাতে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ইউরোপের মতো অবাধ বাণিজ্য চালিয়ে যাওয়া যায়। কিন্তু চিনের সঙ্গে সম্পর্ক কতটা বদলাবেন তা নিয়ে এখনও সন্দিহান বিশ্বের কূটনৈতিক মহল।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
Get all the Latest Bengali News and West Bengal News at Indian Express Bangla. You can also catch all the World News in Bangla by following us on Twitter and Facebook
Web Title: