/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/02/Myanmar.jpg)
সেনা অভ্যুত্থানের পর মায়ানমারের জুন্টা (সামরিক সরকার) দেশে ফেসবুক নিষিদ্ধ করল। দিন দুই আগেই ক্ষমতাসীন সরকারকে ফেলে দিয়ে প্রশাসনের দখল নিয়েছে সেনাবাহিনী। মায়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে গোটা বিশ্বকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে। এরপরই দেশে ফেসবুক নিষিদ্ধ করল জুন্টা সরকার।
সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়া সরব হয়েছেন মায়ানমারবাসী। দেশবাসীর কণ্ঠরোধ করতেই ফেসবুকের মতো জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়ায় কোপ পড়েছে। মায়ানমারের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক জানিয়েছে, দেশের ৫ কোটি ৪০ লক্ষ জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি মানুষের ফেসবুক ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, দেশের কিছু মানুষ অস্থির পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছে। ভুয়ো খবর এবং মিথ্যা তথ্য ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে। ফেসবুকের তরফে জানানো হয়েছে, কিছু ইউজারের ক্ষেত্রে সমস্যা হয়েছে। এমনকী ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপের মতো মেসেজিং অ্যাপগুলিও কাজ করছে না মায়ানমারে। নরওয়ের টেলিকম সংস্থা টেলিনরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সাময়িক ভাবে ফেসবুককে ব্লক করে দেওয়ার জন্য।
আরও পড়ুন সেনা অভ্যুত্থানের জেরে মায়ানমারকে চরম হুঁশিয়ারি বাইডেনের
এদিকে, সেনা অভ্যুত্থান ও স্টেট কাউন্সিলর আং সান সু কি-কে গৃহবন্দি করার ঘটনায় গণতন্ত্রের উপর চরম আঘাত বলে উদ্ধৃত করেছে রাষ্ট্রসংঘ। মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেজ জানিয়েছেন, তিনি সেনাপ্রধানকে আর্জি জানাবেন মায়ানমারে ফের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য। মায়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান ব্যর্থ করতে আন্তর্জাতিক মহলের সবার কাছে আবেদন জানাবেন তিনি। যাতে তাঁরা জুন্টা সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করেন।