Khadakar Mustaq Ahmed-Sinthia Islam Tisha-Taslima Nasrin: প্রেমের সপ্তাহে সাড়া জাগানো যুগল মুশতাক-তিশার পাশে এবার বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। আর, এই ইস্যুতে তিনি টেনে আনলেন খোদ নবি হজরত মহম্মদের প্রসঙ্গ। স্বামী ও স্ত্রীর বয়সের ব্যবধান ৪২ বছর। বাবার চেয়েও আট বছরের বড় ব্যক্তিকে বিয়ে করেছেন বছর ১৮-র তরুণী সিনথিয়া ইসলাম তিশা। তিনি বর্তমানে ১৯ আর তাঁর স্বামী মুশতাক খন্দকর আহমেদের বয়স ৬০। এত বয়সের ব্যবধানে কেন বিয়ে, তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। এমনকী, এই দম্পতিকে হয়রান করারও অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন জায়গায়। এই প্রসঙ্গে এবার মুখ খুলেছেন বিতর্কিত লেখিকা।
Advertisment
১৮-র তরুণীর সঙ্গে ৫৯ বছরের তরুণের প্রেম।
এই বিয়ে মেনে নিতে পারছেন না বাংলাদেশের একাংশ।
এবার এই দম্পতির হয়ে সওয়াল করলেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি পোস্ট করেছেন, 'তিশা আর মুশতাকের বয়সের ব্যবধান ৪২ বছর। মুহম্মদ আর আয়শার বয়সের ব্যবধান ৪৬ বছর। তিশাকে বিয়ে করার সময় মুশতাকের ঘরে কোনও স্ত্রী ছিল না। আয়শাকে বিয়ে করার সময় মুহম্মদের ঘরে সাওদা নামে স্ত্রী ছিল। তিশা আর মুশতাকের বয়সের ব্যবধানের কারণে মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে মুহম্মদের উম্মতেরা এমনই ক্রোধে উন্মত্ত হয়ে উঠেছে যে বইমেলা থেকে দম্পতিকে বের করে দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যদি মুহম্মদ তাঁর স্ত্রী আয়শাকে নিয়ে বইমেলায় প্রবেশ করতেন, তাহলে কী হতো? ভেবেই আমি আতঙ্কিত।'
Advertisment
Taslima Nasrin-Facebook Post: সোশ্যাল মিডিয়ায় এই মন্তব্য করেছেন লেখিকা। (ছবি-ফেসবুক)
খন্দকার মুশতাক আহমেদ আর সিনথিয়া আহমেদ তিশার প্রেমকাহিনি এখন বাংলাদেশের সংবাদ শিরোনামে। শুধু তাই নয়, সবটা জানার পর আন্তর্জাতিক প্রেম সপ্তাহে এই লাভবার্ডই প্রেরণা হয়ে উঠেছেন অনেকের। তিশা জানিয়েছেন, তাঁদের প্রেমকাহিনির শুরুটা হয়েছিল ফেসবুকে। মুশতাক খন্দকার তাঁকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছিলেন। কথাবার্তা হয়েছিল ফেসবুকে নতুন পরিচিত কারও সঙ্গে যেমনভাবে হয়, ঠিক তেমনভাবেই। প্রথম দেখা হয়েছিল ঢাকার আইডিয়াল স্কুল ও কলেজের নবীনবরণ উৎসবে। সেখানে তিশা গিয়েছিলেন নতুন ছাত্রী হিসেবে। আর, মুশতাক খন্দকর কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য রূপে।
Bangladesh-Love Marraige: স্বামীর সঙ্গে তাঁর বয়সের ব্যবধান ৪০ বছরেরও বেশি। তারপরও তিশার দাবি, তিনি তাঁর স্বামীর কাছে সুখেই আছেন। (ছবি- ফেসবুক)
এই সাক্ষাত ক্রমশ মজবুত হয়, প্রেমে পরিণতি পায়। তিশাকে খন্দকার মুশতাকই ডিজ্ঞাসা করেছিলেন, এই সম্পর্কের পরিণতি ঠিক কী হতে চলেছে? জবাবে তিশা জানিয়েছিলেন, তিনি বিয়ে করতে রাজি। কিন্তু, তিশার বাড়ির লোকজন সম্পর্কটা মেনে নেননি। তিশার মা-বাবা তাঁদের মেয়েকে ঘরে তালাবন্ধ করে পর্যন্ত রেখেছিলেন। কিন্তু, বাড়ির ছাদ থেকে সিনেমার কায়দায় লাফ দিয়ে পালিয়ে যান তিশা। ঠাকুরগাঁও থেকে চলে যান ঢাকায় খন্দকার মুশতাকের কাছে। সেখান থেকে দু’জনে রিক্সায় চেপে যান বিজয়নগর। মুসলিম ধর্মমত অনুযায়ী বিয়ে করেন। তারপর আইনি পদ্ধতিতেও সারেন বিয়ে।
তাতেও অবশ্য তিশার মা-বাবা এই সম্পর্ক মেনে নেননি। তাঁরা থানায় খন্দকার মুশতাকের বিরুদ্ধে মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ আনেন। আদালতে বিচার প্রক্রিয়া চলাকালীন তিশাকে কিছুদিন হোমে কাটাতে হয়। কিন্তু প্রেম তাতেও ধাক্কা খায়নি। বিচারকের কাছে তিশা জানান, তিনি সাবালিকা। স্বামীর কাছেই স্বেচ্ছায় থাকতে চান। স্বামীর সঙ্গে তাঁর বয়সের ব্যবধান ৪০ বছরের বেশি। তবুও তিশার দাবি, তিনি তাঁর স্বামীর সঙ্গে সুখেই ঘর-সংসার করছেন।