এবার পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়া-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দখলের দাবি করা অঞ্চলগুলিতে ফোকাস করবে মস্কো। শুক্রবারই মস্কোর তরফে এই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে মরণপণ যুদ্ধ জারি রেখেছে ইউক্রেন। ৩১ দিনের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে রাশিয়ার মতো বিশাল শক্তির মোকাবিলায় এতটুকু জমিও ছাড়েনি ইউক্রেনের সেনা।
ইউক্রেনের মাটি থেকে রুশ সেনাকে সরাতে এখনও জোরদার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে জেলেনস্কির সেনাবাহিনী। ইতিমধ্যেই ইউক্রেনীয় বাহিনী রাজধানী কিয়েভের বাইরের শহরগুলি পুনরুদ্ধার করতে রুশ সেনার উপর আক্রমণ চালিয়েছে। এক মার্কিন প্রশাসনিক কর্তা জানিয়েছেন, খেরসনের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রুশ সেনার হাতে নেই। মস্কোর বাহিনীর হাতে পতনের এটাই ছিল ইউক্রেনের প্রথম বড় শহর।
শুক্রবারই ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের ভয়াবহ একটি খবর প্রকাশ্যে আসে। সংবাদসংস্থা এএফপি স্থানীয় একটি সূত্রকে ঊদ্ধৃত করে জানায়,গত সপ্তাহে ইউক্রেনের মারিউপোলের একটি থিয়েটার হলে রাশিয়ান বিমান হামলায় কমপক্ষে ৩০০ জন নিহত হয়েছিলেন। যুদ্ধের সময় গোলা-গুলির হাত থেকে বাঁচতে ওই থিয়েটার হলেই আশ্রয় নিয়েছিলেন ইউক্রেনিয়ানরা।
প্রাণভয়ে থিয়েটার হলে ঢুকে আশ্রয় নেওয়া সেই নিরীহ নাগরিকদের উপরেই হামলা চালায় রাশিয়া। যে হলকে নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল মুহূর্তের মধ্যে সেই হলেই প্রাণ খোয়াতে হয় শ'য়ে শ'য়ে ইউক্রেনীয় নাগরিককে।
আরও পড়ুন- রুশ হামলায় ইউক্রেনে মৃত্যু-মিছিল, মারিউপোলে ৩০০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা
এদিকে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারতও। কূটনৈতিক কিছু বাধ্যবাধকতার জেরে সরাসরি রুশ বিরোধিতায় না গিয়েও যুদ্ধ থামানোর দাবি শুরু থেকেই করে আসছে ভারত। সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে মানবাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব পেশ করেছিল রাশিয়া। তা নিয়ে ভোটাভুটিও হয়। রাশিয়ার প্রস্তাবে সাড়া না দিয়ে সেই ভোটাভুটিতেও বিরত থেকেছে ভারত।
অন্যদিকে, বিদেশ প্রতিমন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি লোকসভায় জানিয়েছেন, ভারত-রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার জন্য মস্কোর উপর পশ্চিমী দেশগুলির নিষেধাজ্ঞার প্রভাব বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। এদিকে, দেশে ফের এক দফায় দাম বৃদ্ধি জারি রয়েছে জ্বালানি তেলের।
আরও পড়ুন- সতীর্থের মৃত্যুতে আপাতত তিন দিনের জন্য বাঁচল ইমরানের কুর্সি
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি গত চার দিনে তিনবার জ্বালানির দাম বৃদ্ধির পক্ষে সওয়াল করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে চলা যুদ্ধের জেরে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে তেলের দামে লাগাম টানা কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়েছে।
Read story in English