যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আগেই নিরপরাধ নাগরিকদের হত্যার অভিযোগ উঠেছিল। এবার চেরনিহিভে ১০ সাধারণ নাগরিককে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠল রুশ সেনার বিরুদ্ধে। বুধবার ওই নাগরিকরা রুটি সংগ্রহের জন্য দাঁড়িয়েছিলেন। সেই সময় তাঁদের গুলি করে হত্যা করেছে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর জওয়ানরা। এমনই অভিযোগ করেছে ইউক্রেনের মার্কিন দূতাবাস।
মার্কিন সেনেটে ইতিমধ্যেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের প্রস্তাব পাশ হয়েছে। তারমধ্যেই ইউক্রেনের মার্কিন দূতাবাস সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছে, 'এই ধরনের ভয়ঙ্কর হামলা বন্ধ হওয়া উচিত। ইউক্রেনে নৃশংস অপরাধের বিরুদ্ধে প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে আমরা সবরকম সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছি।' তবে, একথা বললেও ওই নাগরিকদের হত্যার কোনও প্রমাণ সোশ্যাল মিডিয়ায় পেশ করেনি মার্কিন দূতাবাস।
এই পরিস্থিতিতে বুধবার ফের আমেরিকার সাহায্য চেয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। তিনি মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, 'এই মুহূর্তে আমরা আপনাদেরকে চাই।' একইসঙ্গে জেলেনস্কি মার্কিন নেতৃত্বকে পার্ল হারবার এবং ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জঙ্গিহানার কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি ইউক্রেনের আকাশসীমা বন্ধের দাবি করেছিলেন বলেও জানিয়েছেন। কিন্তু, তারপরও সেই আকাশসীমা বন্ধ হয়নি বলেই অনুযোগ করেছেন জেলেনস্কি।
এর সঙ্গেই ক্যাপিটল কমপ্লেক্স থেকে লাইভস্ট্রিম মারফত জেলেনস্কি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে রাশিয়ার জনপ্রতিনিধি এবং রাশিয়া থেকে পণ্য আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়েছেন। ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা আবার অভিযোগ করেছেন, এসকাদোভস্ক শহরের মেয়রকে অপহরণ করেছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, 'হামলাকারীরা লাগাতার ইউক্রেনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের অপহরণ করে চলেছে। এসকাদোভস্কের মেয়র আলেকজান্দার ইয়াকভলিয়েভকে এবং ডেপুটি মেয়র ইউরি পালউখকে অপহরণ করা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার উচিত অবিলম্বে অপহৃত ইউক্রেনের আধিকারিকদের মুক্তির জন্য রাশিয়াকে বলা।'
এরমধ্যেই ইউক্রেন প্রশাসনের একাংশ অভিযোগ করেছে, আলোচনা চলাকালীনই কিয়েভ-সহ ইউক্রেনের সব গুরুত্বপূর্ণ শহর দখল করে নিতে চাইছেন রাশিয়া। সেই কারণেই শান্তি আলোচনা চলাকালীন লাগাতার হামলা চালাচ্ছে মস্কো।
Read story in English