Advertisment

মাথানত করবে না ইউক্রেন, রাশিয়ার চূড়ান্ত সময়সীমার পালটা বার্তা জেলেনস্কির

ইউক্রেনবাসীকে পাশে থাকার বার্তা দিতে চলতি সপ্তাহেই পোল্যান্ড যাচ্ছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
russia ukrain live updates

রাশিয়া দাবি করেছে যুদ্ধের কারণে তাদের ১,৩৫১ জন সেনা নিহিত হয়েছেন।

মারিউপোলের আত্মসমর্পণের জন্য সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল মস্কো। সেই সময়সীমাকে কার্যত মজার ছলেই উড়িয়ে দিল কিয়েভ। রাশিয়া জানিয়েছিল, তাদের হামলা থামাতে হলে সকাল ৫টার মধ্যে মারিউপোলকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। রাশিয়ার তরফে কর্নেল- জেনারেল মিখাইল মিজিন্তসেভ রবিবার এমনই নির্দেশ দিয়েছিলেন। সোমবার তা প্রত্যাখ্যান করে ইউক্রেনের উপপ্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেসচুক পরিষ্কার জানান, আত্মসমর্পণের প্রশ্নই নেই। আত্মসমর্পণ নিয়ে কোনও কথাও হয়নি। অস্ত্রসংবরণেরও প্রশ্ন নেই। একথা রাশিয়াকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, বন্দর শহর মারিউপোলে রুশ বাহিনী চরম বাধার মুখে পড়েছে। তাদের থেকে মারিউপোল ইউক্রেন ফের দখল করে নিয়েছে বলেই জানান ইউক্রেনের উপপ্রধানমন্ত্রী।

Advertisment

এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনবাসীকে পাশে থাকার বার্তা দিতে চলতি সপ্তাহেই পোল্যান্ড যাচ্ছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইউক্রেনে হামলা চালানোয় রাশিয়ার বিরুদ্ধে একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা। বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে ন্যাটো, জি৭ গোষ্ঠী এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের বৈঠক হয়েছে। তারপরই বাইডেনের পোল্যান্ড সফরের সিদ্ধান্ত বলেই জানিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভবন হোয়াইট হাউস। গত সপ্তাহেই মারিউপোলে এক স্কুলবাড়িতে হামলা চালিয়েছিল রাশিয়া। ওই হামলায় স্কুলবাড়িটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়েন ৪০০ জন।

তার মধ্যেই রাশিয়া এবং ইউক্রেনের শান্তি আলোচনায় মধ্যস্থতাকারীরা সোমবার দেড় ঘণ্টা ভিডিও বৈঠক করেন। শান্তি আলোচনার ব্যাপারে রাষ্ট্রসংঘের মার্কিন দূত লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ড বলেন, 'আমরা মধ্যস্থতাকারীদের সমর্থন করি। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি আলোচনার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু, একপাক্ষিক আলোচনার চেষ্টা চলছে। রাশিয়া কোনও কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত বা আলোচনার পক্ষপাতীই নয়।' এর মধ্যেই রাশিয়ার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের এক শপিংমলে কমপক্ষে আট জন প্রাণ হারিয়েছেন। ক্ষেপণাস্ত্র হানায় শপিংমলটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। তার আশপাশে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি এবং ভবনগুলোরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের যে নাগরিকরা ভিনদেশে আশ্রয় পেয়েছেন, তাঁদের কাজের সন্ধান চালাচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই শরণার্থী শিবিরে পরিবার নিয়ে থাকছেন। সেখান থেকেই চলছে তাঁদের কাজের সন্ধান। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কাজ পেতে গেলে ওয়ার্ক পারমিট বাধ্যতামূলক। সেকথা মাথায় রেখে ওই শরণার্থীরা পোল্যান্ড, হাঙ্গেরির মতো দেশগুলোর কাছে ওয়ার্ক পারমিটের আবেদন জানিয়েছে।

Read story in English

russia Mariupol
Advertisment