রুশ হানাদারদের কাছে মাথা নত করেনি তাঁরা। কৃষ্ণ সাগরে ছোট্ট দ্বীপ রক্ষা করতে গিয়ে রুশ নৌসেনার গুলিতে প্রাণ দিয়েছেন ১৩ জন ইউক্রেন বর্ডার গার্ডস। তাঁদের শহিদের মর্যাদা দিতে কার্পণ্য করবে না ইউক্রেন। সেনা আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ১৩ জন মরণোত্তর সম্মান দেওয়া হবে বীরত্বের জন্য।
জানা গিয়েছে, কৃষ্ণ সাগরে ইউক্রেনের অধীনে থাকা ছোট্ট দ্বীপ জিমিনি বা স্নেক আইল্যান্ড। ওডেসা পোর্টর দক্ষিণ অবস্থিত এই দ্বীপে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকার ১৩ জন বর্ডার গার্ডসকে নৃশংস ভাবে হত্যা করে রুশ রণতরীতে থাকা সৈন্যরা। কিয়েভ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাশিয়া আকাশ এবং সমুদ্রপথে ইউক্রেনে হামলা চালানোর সময় স্নেক আইল্যান্ডে থাকা সৈন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
ইউক্রেনের সেনা আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ১৩ জন বর্ডার গার্ডসের মৃত্যুর পর একটি অডিও ক্লিপ ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ইউক্রেনের সংবাদমাধ্যমের দাবি, সেই ক্লিপে বর্ডার গার্ডসের সঙ্গে রুশ ফৌজের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। রুশ ফৌজ তাঁদের বলে, "এটা রাশিয়ার রণতরী। আমরা বলছি, তোমরা অস্ত্র ফেলে দিয়ে আত্মসমর্পণ করো। নাহলে রক্তপাত অনিবার্য। তোমাদের উড়িয়ে দেওয়া হবে।"
আরও পড়ুন কিয়েভে রুশ-ইউক্রেন সেনার ব্যাপক সংঘর্ষ, প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি কোথায়, তা নিয়ে ধন্দ
এর পর বর্ডার গার্ডসরা পাল্টা রুশ রণতরীকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করে। তখন রুশ গোলায় উড়িয়ে দেওয়া হয় তাঁদের। এমনটাই জানিয়েছেন, রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ মন্ত্রীর উপদেষ্টা অ্যান্টন হেরাশচেঙ্কো। এই ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদসংস্থা রয়টার্স। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমিক জেলেনস্কি জানিয়েছেন, শহিদদের বলিদান ব্যর্থ যাবে না।
নিজের ওয়েবসাইটে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, "জিমিনি আইল্যান্ডে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়ে আমাদের বর্ডার গার্ডসরা নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন। কিন্তু ওঁরা হার মানেনি। তাঁদের প্রত্যেককে মরণোত্তর ইউক্রেনের নায়ক সম্মান দেওয়া হবে।"