বজ্রপাতে মৃত্যু ১৪ জনের। পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে শনিবার রাত থেকে প্রবল ঝড়-বৃষ্টির সঙ্গে মুহুর্মুহু বজ্রপাত শুরু হয়। শনিবার রাত থেকে চলা প্রাকৃতিক দুর্যোগ চলে রবিবার ভোর পর্যন্ত। মুহুর্মুহু বজ্রপাতে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের তোরঘার গ্রামে ১৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। ঝড়ের দাপটে এলাকার বেশ কিছু কাঁচা-বাড়ি ভেঙে পড়েছে। পাহাড় ঘেরা এই এলাকায় ঝড়-বৃষ্টির জেরে কাদায় রাস্তা-ঘাট ভরে গিয়েছে। যার জেরে এলাকায় উদ্ধারকাজ চালাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যদের।
প্রবল প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে লণ্ডভণ্ড অবস্থা পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বিস্তার্ণ এলাকায়। শনিবার রাত থেকে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয় এই এলাকায়। রবিবার সকাল পর্যন্ত দফায়-দফায় ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টির সঙ্গে তুমুল বজ্রপাত হয়েছে এলাকায়।
ঝড়ের দাপটে এলাকার তোরঘার গ্রামের একাধিক কাঁচাবাড়ি ভেঙে পড়েছে। পাহাড় ঘেরা এলাকায় একটানা মুষলধারে বৃষ্টির জেরে রাস্তা-ঘাট কাদায় ভরে গিয়েছে। উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের এই এলাকায় বজ্রপাতের জেরে কপক্ষে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন মহিলা ও শিশু রয়েছে।
আরও পড়ুন- বড়সড় করোনা-স্বস্তি, একধাক্কায় বেশ খানিকটা কমল দেশের দৈনিক সংক্রমণ
উল্লেখ্য, হাজারা বিভাগের অধীনে রয়েছে খাইবার পাখতুনখোয়ার এই পার্বত্য এলাকা। সাধারণত প্রতি বছর বর্ষায় এই এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। পাহাড়ি এলাকায় বর্ষায় ধস নামা চেনা ছবি। প্রতিবার বর্ষাকালে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় ধস নেমে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। বৃষ্টি বাড়লে পরিস্থিতি আরও সঙ্গীন হয়। একটানা বেশ কিছুদিন এই এলাকাগুলির সঙ্গে পাকিস্তানের অন্য এলাকার যোগাযোগ রক্ষাই ঘোরতর সমস্যার মুখে পড়ে যায়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন