আক্রমণের ১৮তম দিনেও ভয়ানক রুশ হামলার শিকার ইউক্রেন। এবার ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালানো হল ইউক্রেনের সামরিক ঘাঁটিতে। পোল্যান্ডের শহর লভিভ অঞ্চলের গভর্নরের দাবি, ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলে সামরিক ঘাঁটিতে রাশিয়ার ক্ষেপনাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ৩৫ জন নিহত হয়েছেন। এতদিন মূলত ইউক্রেনের পূর্বপ্রান্তের শহর ও অঞ্চলগুলিতেই হামলার রেশ বজায় রেখেছিল পুতিনের সেনারা। তবে, রবিবার ইয়াভোরিভ সেনা ঘাঁটিতে হামলার মাধ্যমে ইউক্রেনের পশ্চিমপ্রান্তেও আক্রমণের বহর বাড়লো রুশ সৈন্যবাহিনী।
Advertisment
ইয়াভোরিভ সেনা ঘাঁটি পোল্যান্ড ও ইউক্রেন সীমান্ত থেকে মাত্র ৩৫ কিমি দূরে। রবিবার সকালেই, পোল্যান্ডের তরফে দাবি করা হয়েছিল যে, রুশ বাহিনী লভিভে আটটি রকেট নিক্ষেপ করেছে। পরে, হতাহতের খবর দিয়ে লভিভের গভর্নর জানান, ইয়াভোরিভে অন্তত ৩০টি রকেট নিক্ষেপ করেছে রুশ সেনা।
ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলের সবথেকে বড় সামরিক মহড়াস্থল ইয়াভোরিভ ইন্টারন্যাশনাল পিসকিপিং অ্যান্ড সিকিউরিটি সেন্টার। এই ঘাঁটিতে ইউক্রেনিয় সেনা, ন্যাটো বাহিনীর সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া পরিচালনা করে থাকে। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হামলার সময় ওই ঘাঁটিতে বিদেশী সামরিক প্রশিক্ষকরাও উপস্থিত ছিলেন। তবে বিদেশী কোনও সেনা ছিল না।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি হামলা শুরুর পর পরই ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলে ন্যাটোভুক্ত সীমান্ত দেশ পোল্যান্ডে সরে যাচ্ছিলেন শরণার্থীরা। এবার ইয়াভোরিভ সেনা ঘাঁটিতে হামলার জেরে সে পথও কার্যত আতঙ্কের হয়ে দাঁড়াল।
শনিবারই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি দাবি করেছিলেন যে, রাশিয়া গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় ক্ষতির পরেও নতুন করে সেনা পাঠাচ্ছে। জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময়, জেলেনস্কি রাশিয়াকে সংঘর্ষ বিরতি জারি রাখার আর্জি জানিয়েছিলেন। মারিউপোল থেকে মানুষদের স্থানান্তর সফলভাবে করতেই তাঁর আবেন ছিল। প্রেসিডেন্ট জানিয়েছিলেন যে, তিনি জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ এবং ফরাসি রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে মেলিটোপোলের মেয়রকে মুক্তি দেওয়ার জন্য রাশিয়ার উপর চাপ দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। মেলিটোপোলের মেয়র শুক্রবার রাশিয়ান সেনারা অপহরণ করেছিল বলে অভিযোগ।
ভয়াবহ অউ যুদ্ধের মাধেই 'হত্যালীলা' বন্ধের আবেদন করেছেন পোপ ফ্রান্সিস।