চিন সাহায্য করছে। ভারত সাহায্য করছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার আর্থিক সাহায্য করছে। তবুও দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায় বিক্ষোভ থামছেই না। দেশের হাল তলানিতে নিয়ে আসায় যাবতীয় ক্ষোভ আছড়ে পড়েছে প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষর ওপর। তাঁকে পদত্যাগ করতেই হবে। এই দাবিতে দ্বীপরাষ্ট্র এখন বিক্ষোভে উত্তাল।
গোতাবায়া রাজাপক্ষর বিরুদ্ধে স্বজনপোষণেরও বহু অভিযোগ আছে। সেসব নিয়েও সরব দ্বীপরাষ্ট্রবাসী। রাত-দিনের পরোয়া নেই। বিক্ষোভকারীদের ভিড়ে ভিড়াক্কার গালের ফেস গ্রিন আরবান পার্ক। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, যত নষ্টের গোড়া রাজাপক্ষে। ভারতের পরের বছর ১৯৪৮ সালে স্বাধীন হয়েছে শ্রীলঙ্কা।
ভারতের মতোই ইংল্যান্ডের অধীনে ছিল লঙ্কা। তারপর একের পর ঝড় গিয়েছে লঙ্কার ওপর দিয়ে। এলটিটিই থেকে হাজারো সমস্যায় বারবার লঙ্কা পুড়েছে। কিন্তু, সোনার লঙ্কা পুড়তে পুড়তে এত খারাপ অর্থনৈতিক অবস্থায় পড়বে, দ্বীপরাষ্ট্রবাসী তা ভাবতেও পারেননি। ২০২২-এ যা দেখছেন, অতীতের সঙ্গে তার তুলনা টানা যায় না। দ্বীপরাষ্ট্রবাসীর তাই সোজা কথা, সরতেই হবে রাজাপক্ষকে।
আর প্রেসিডেন্ড রাজাপক্ষ কী বলছেন? তাঁর আবার অভিযোগ, সব করাচ্ছে বিরোধীরা। শুধু শ্রীলঙ্কার ক্ষমতা দখলের ফিকির খুঁজছে। তাই সরকারি আর্থিক অনটনকে সামনে রেখে দ্বীপরাষ্ট্রের মানুষকে খেপিয়ে তুলছে। পিছনে যেই থাকুক, বিক্ষোভকারী সাধারণ দ্বীপরাষ্ট্রবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘক্ষণ ধরে বিদ্রুতের বিভ্রাট চলছে। রান্নার গ্যাস থেকে গাড়িতে ভরার গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। খাবার পাওয়া যাচ্ছে না। নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে না। তারই প্রতিবাদে শনিবার দুপুর থেকে বিক্ষোভকারী বিভিন্ন সংগঠন তাদের লোকজন নিয়ে মিছিল করে রাজাপক্ষের সচিবালয়ের কাছে গালে ফেস এলাকায় আসা শুরু করে। দু'দিন আগে যেভাবে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন, ঠিক সেভাবেই।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, সরকার জানিয়েছিল সংকট মিটে গেছে। সাধারণ মানুষের আর কোনও সমস্যা হবে না। কিন্তু, সেই প্রতিশ্রুতি সরকার পূরণ করছে না। যার অর্থ শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকট মেটেনি। রাজাপক্ষর সরকার সংকট মেটার যে দাবি করেছিল, সবটাই মিথ্যে। সুতরাং, গদি ছাড়তেই হবে প্রেসিডেন্টকে। বিক্ষোভকারীদের ভিড়ে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। বন্ধ হয়ে পড়ে যানচলাচল।
Read story in English