যেন চাপ আর পালটা চাপের খেলা। রাশিয়ায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, বিদেশমন্ত্রী লিজ ট্রস আর প্রতিরক্ষা সচিব বেন ওয়ালেসের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করল মস্কো। পাশাপাশি, ব্রিটিশ সরকার এবং রাজনীতিবিদদের মধ্যে আরও ১০ জনের বিরুদ্ধেও জারি হতে চলেছে নিষেধাজ্ঞা। ব্রিটিশ সরকার ইতিমধ্যেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। রাশিয়ার বিভিন্ন আধিকারিকদের ব্রিটেনে প্রবেশে না-করে দিয়েছে। এই অনভিপ্রেত সিদ্ধান্তের প্রতিবাদেই পালটা নিষেধাজ্ঞা জারি করার কথা জানিয়েছে মস্কো। এতেই শেষ নয়। তালিকাটা আরও বাড়তে পারে বলে রাশিয়া জানিয়ে দিয়েছে।
এর আগে ইউক্রেনে হামলার প্রেক্ষিতে পুতিন ও তাঁর সহযোগীদের যুদ্ধাপরাধী ঘোষণা করেছে আমেরিকা ও তার সঙ্গে থাকা ন্যাটোভুক্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক দুনিয়া থেকে রাশিয়াকে কার্যত একঘরে করতে নানা প্রস্তাব এনে রাষ্ট্রসংঘে পাশ করিয়েছে আমেরিকা-ব্রিটেনের মতো দেশগুলো। তবে, এই সব প্রস্তাবে বারবার দেখা গিয়েছে, প্রায় ৫০টির মতো দেশ ভোটাভুটিতে অংশই নেয়নি। তার মধ্যে চিন এবং ভারতও রয়েছে। যার ফলে আমেরিকা এবং ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্সের মতো দেশগুলোর প্রস্তাব পাশ কার্যত একপেশে হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন- অয়েল বন্ড কি এবং তারা সরকারের হাত কতটা বেঁধে রাখে?
এই অবস্থায় রাশিয়া থেকে পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ওই সব দেশ। পাশাপাশি, কোনও রুশ কূটনীতিবিদদেরও গুপ্তচর আখ্যা দিয়ে বের করে দিয়েছে জার্মানি-সহ বিভিন্ন দেশের সরকার। তার পরও ভাঙলেও মচকাতে নারাজ রাশিয়া। রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদ থেকে রাশিয়াকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত পাশ হওয়ার পর রাশিয়া পরিষদ থেকে নানা কারণ দেখিয়ে নিজেই ইস্তফার কথা ঘোষণা করেছে। পাশাপাশি, এখন চলছে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিবিদদের এবং সেই সব দেশের সরকারের প্রধানদের রাশিয়ায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি। সেই নিষেধাজ্ঞাই এবার জারি হল আমেরিকার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভার প্রধানদের বিরুদ্ধে।
যাকে অবশ্য বিশেষ আমল দিতে রাজি নয় বলেই বোঝাতে চেয়েছে ব্রিটেন-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। তবে, পরমাণু শক্তিধর রাশিয়ার বিরুদ্ধে নানা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও, রাশিয়ার ওপর পালটা হামলা চালাতে নারাজ আমেরিকা এবং ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো।
Read story in English