কিভের উপকণ্ঠ থেকে রাশিয়া সেনা প্রত্যাহার করেছে। তা-ও কয়েকদিন হয়ে গেল। কিন্তু, এখনও মস্কোর বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী ক্ষোভের ইতি নেই। উলটে, কিভের কাছে রাস্তায় সাধারণ নাগরিকদের দেহ উদ্ধারের পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কমার বদলে বেড়েছে। নিহত ব্যক্তিদের খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি এবং ভিডিওয় তা স্পষ্ট ধরা পড়েছে। হত্যার পর দেহগুলো খোলা জায়গায় ফেলে রাখা হয়েছে। কোথাও আবার তাড়াহুড়ো করে কবর দেওয়া হয়েছে দেহ।
সেসব ভিডিও এবং ছবি দেখে ক্ষুব্ধ বিশ্বের প্রায় সব দেশের মানুষই। তাঁরা পুতিনের কর্মকেন্দ্র মস্কোর ক্রেমলিনের বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞার দাবি জানিয়েছেন। ইতিমধ্যেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুদ্ধ অপরাধী হিসেবে আন্তর্জাতিক আদালতে অভিযুক্ত হয়েছেন। খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুদ্ধাপরাধের জন্য পুতিনের বিচার চেয়েছেন। রাশিয়ার বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে জার্মানি এবং ফ্রান্সও কয়েক ডজন রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে তাদের দেশ থেকে। দুই দেশই দাবি করেছে, বহিষ্কৃত কূটনীতিকরা রাশিয়ার হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করছিলেন।
ইউক্রেন সরকারের দাবি, ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া হামলা শুরুর পর থেকে এখনও পর্যন্ত ১৮ জন সাংবাদিক যুদ্ধের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন। ইউক্রেনের তথ্য-সংস্কৃতিমন্ত্রী গণমাধ্যমে এক বক্তব্যে আশ্বাস দিয়েছেন যে, প্রত্যেক সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধির প্রাণহানির ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত হবে। ইউক্রেন সরকারের দাবি, আরও ১৩ জন সাংবাদিক রাশিয়ার হামলায় আহত হয়েছেন। আট জনকে অপহরণ করা হয়েছে। অথবা বন্দি বানিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, তিন জন সাংবাদিক এখনও নিখোঁজ।
এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের ওপর ফের হামলার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। সেই আশঙ্কা থেকে এবং রাশিয়া যাতে ইউক্রেনের ওপর রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করতে না-পারে, সেজন্য তত্পর হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনকে এই 'সহায়তা এবং সুরক্ষা' প্রদানের জন্য আন্তর্জাতিক রাসায়নিক অস্ত্র পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাকে আড়াই লক্ষ মার্কিন ডলার দিয়েছে আমেরিকা।
রাসায়নিক অস্ত্র পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাটির প্রতিনিধিরা গত বৃহস্পতিবার মার্কিন বিদেশ দফতরের অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিভাগের উপ সহকারি সচিব মার্ক শ ও ওপিসিডব্লিউয়ের মহানির্দেশক ফার্নান্দো আরিয়াসের সঙ্গে একটি বৈঠকের পরে এই অর্থ পাওয়ার কথা স্বীকার করেছে।
Read story in English